পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্থ ভাগ).pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । { म ग९था । * سو BBBD DBBD BBuD BBDSS KEED BBD DDBDDD DBDD SiS SDBDDBDLLSDDDD সহায় হইয়াছে। তিনি পাশ্চাত্য ভাবের সহিত স্বদেশীয় ভাবের তুলনা বা সামঞ্জস্যবৃক্ষা করিতে শিখিয়াছেন। এইরূপ শিক্ষায় বাঙ্গালা সাহিতে যে কয়েক খানি উৎকৃষ্ট কাব্যের উৎপত্তি হইয়াছে, তৎসমুদয় আপনাদের প্রতিপত্তি রক্ষায় অসমর্থ হয় নাই। ভাবের গাম্ভীৰ্য্যে, বর্ণনার বৈচিত্র্যে, কল্পনার উচ্ছাসে মেঘনাদবধ বা বৃত্ৰসংহার, পলাশীর যুদ্ধ বা স্বপ্ন প্ৰয়াণ প্ৰভৃতি কাব্য উন্নত সাহিত্যর অযোগ্য বিষয় নহে। বৰ্ত্তমান যুগে বাঙ্গালা কাব্যে অমিত্ৰাক্ষর ছন্দের। প্ৰবৰ্ত্তনা বাঙ্গালীর প্রতিভার প্রধান নিদর্শন। পাশ্চাত্য সাহিত্যের সহিত সুপরিচিত হইয়া, কবি এইরূপে স্বকীয় প্ৰতিভা দেখাইয়াছেন। বস্তুতঃ বিকটোরিয়ার রাজত্বে বাঙ্গালার যে সকল কবি কল্পনাবিভ্ৰমে বা চরিত্রাঙ্কনে খ্যাতি লাভ করিয়াছেন, পাশ্চাত্য সাহিত্যই অনেক সময়ে তাহদের প্রধান পথপ্ৰদৰ্শক হইয়াছে। তঁহারা পাশ্চাত্য সাহিত্যের প্রদর্শিত পথে পদাৰ্পণ করিয়া যেখানে চিত্তসংযমের পরিচয় দিয়াছেন, সেই খানেই তাহদের কবিতা জাতীয়ভাবে হৃদয়গ্ৰাহিণী হইয়াছে। মেঘনাদবধকার অসামান্য প্ৰতিভাশালী হইয়াও চিত্তসংযম রক্ষা করিতে পারেন নাই । তিনি সংসারে যেমন উচ্ছঙ্খলতা দেখাইয়াছেন, অমৃতময়ী বাগদেবীর আরাধনা স্থলেও সেইরূপ অসংযতভাব প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন । কল্পনা তাহাকে সর্বদা অনেক উচ্চতর ও অভাবনীয় বিষয়ের দিকে লইয়া যাইত । গম্ভীর ভাব সৰ্ব্বদা আজ্ঞাবহ কিঙ্করের ন্যায় তাহার কাৰ্য্যসাধনে নিয়োজিত হইত। বর্ণনা বৈচিত্ৰ্য সর্বদা তাহার। আনুগত্য স্বীকারে প্রস্তুত থাকিত । কিন্তু বৰ্ত্তমান যুগে তিনি শ্রেষ্ঠ কবি হইয়াও স্বকীয় মহাকাব্যে জাতীয় ভাবের সম্মানরক্ষা করিতে পারেন নাই। ফলতঃ আধুনিক কবিগণ আপনাদের কাব্যে যথোচিত ক্ষমতা প্ৰকাশ করিলেও সরল ও স্বাভাবিক ভাবে প্ৰাচীন কবিকুলের নিম্নগণ্য হইয়াছেন । এ অংশে চিরদরিদ্র মুকুন্দরামকে কেহই অতিক্রম করিতে পারেন নাই। বৰ্ত্তমান কালে যে সকল কবি জাতীয় প্ৰকৃতির অনুরূপ বিষয়ে প্ৰতিভার পরিচয় দিয়াছেন, তঁহাদের কাব্যই বাঙ্গালা সাহিত্যে আদর লাভ করিয়াছে। এই সকল কাব্যের সংখ্যা অধিক নহে। বিকটোরিয়ার রাজত্বে ইংরেজী সাহিত্য যেরূপ কাব্য প্রধান হয় নাই, বাঙ্গালা সাহিত্যও সেইরূপ কাব্য প্ৰধান বলিয়া পরিগণিত হইতে পারে নাই । কল্পনাবৈচিত্র্য থাকিলেও সারল্য, মাধুৰ্য্য ও স্বাভাবিক ভাবের অভাবে ইদানীন্তন বাঙ্গালা কাব্য পূৰ্ব্বতন কাব্যের নিকটে নিঃসন্দেহ পরাজয় স্বীকার করিয়াছে । যাহা হউক, বিকটোরিয়ার রাজত্বে গদ্য সাহিত্যের উন্নতিই বঙ্গীয় সাহিত্য ক্ষেত্রের সৰ্ব্ব প্রধান ঘটনা। এই ঘটনার জন্যই বিকৃটোরিয়ার রাজত্বকাল বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হইয়া থাকিবে । বিক্‌টােরিয়ার রাজত্বের পূর্বে যে সকল গদ্যগ্রন্থ প্ৰণীত ও প্রকাশিত হইত, তৎসমুদ্ৰায়ের রচনা উৎকৃষ্ট ছিল না। উৎকট ও অযথাভাবে সন্নিবেশিত শব্দের আড়ম্বরে উহা শ্রুতিকঠোর হইত। মহারাণীর রাজ্যভার গ্রহণের প্রায় ৩৬৩৭