পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্থ ভাগ).pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন। ১৩০৪ ] মহারাণী বিক্টোরিয়ার রাজত্বে বাঙ্গালা সাহিত্য । - ৯ । বৎসর পূৰ্ব্বে বাঙ্গালায় মুদ্রিত গন্ত গ্রন্থের প্রচার হয়। এই সময় হইতে ভিন্ন ভিন্ন লেখক ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে গদ্যরচনা করিতে থাকেন। এই সময়ের গন্ত কিরূপ ছিল নিম্নোদ্ভূত অংশপাঠে তাহা হৃদয়ঙ্গম হইবে- المرا “দ্বাপর যুগন্তে ভারতবংশে অভিমন্ত্যসন্ততি মহারাজা পরিক্ষিত সাধু সত্যবাদী, জিতেন্দ্ৰিয়, সৰ্ব্ব প্রকারেতে শিষ্ট । এক দিবস মৃগয়াতে কাৰ্য্যাক্ৰমে অমাত্য ও সেনাগণের সঙ্গ হইতে ভিন্ন হইয়া দৈবে দূর বনপ্রবেশ করিয়াছিলেন ; অত্যন্ত শ্ৰান্ত তৃষ্ণাৰ্ত্ত হইয়া জল না। পাওনেতে বিব্রত জল অন্বেষণ করিতে করিতে দেখিল এক রম্যস্থল, কিন্তু জল নিকটের মধ্যে দেখেন না ; একজন মৌন ব্ৰতে বসিয়াছে, তাহাকে বার বার জিজ্ঞাসা করিলেন, তাহাতে উত্তর না পাইয়া কোপান্বিত হইয়া সেই স্থানে মৃতসৰ্প ছিল, তাহা সেই মুনির গলায় বেষ্টন করিয়া দিয়া প্ৰস্থান করিলেন। সে মুনির পুত্ৰ আসিয়া পিতার বিগতি দেখিয়া উন্মায় উন্মান্বিত হইয়া জল হস্তে করিয়া শাপ দিল, যেজন মৃতসৰ্প আমার পিতার গলায় জড়াইয়াছে, অদ্য হইতে সপ্তম দিবসে তাহাকে তক্ষ ক কালসৰ্প দংশুক । পশ্চাৎকাল বিদিত হইল সে ব্যক্তি ছিল রাজা পরিক্ষিত ।” ( লিপিমালা । ) এই গদ্য রচনা উৎকৃষ্ট রীতির অনুমোদিত নহে। এই সময়ে যে সকল গদ্য গ্ৰন্থ প্রচারিত হইয়াছিল, তৎসমুদায়ের মধ্যে রচনার প্রাঞ্জলতার জন্য একখানি অধিকতর প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল। এই প্ৰসিদ্ধ গ্রন্থের একাংশ উদ্ধত হইতেছে “মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় শিবনিবাসের বাটীতে মহাহির্ষে বিশ্রাম করিতেছেন ; সর্বদা আনন্দিত, পুরবাসিরা সৰ্ব্বক্ষণ উত্তম কৰ্ম্মে নিযুক্ত, নানা দেশীয় গুণবান ব্যক্তি আসিয়া রাজএ সভায় বসিয়া গুণের পরীক্ষা দিতেছেন ; পণ্ডিতেরা ছাত্র সমভিব্যাহৃত রাজার নিকটস্থ হইয়া শাস্ত্রের বিচার করিতেছেন ; এই প্রকার প্রত্যহ হইভেছে, দ্বিতীয় রাজা বিক্ৰমাদিত্যের ন্যায় সভা, সকলেই মহারাজকে প্ৰশংসা করে, দিনে দিনে রাজ্যের বৃদ্ধি এবং প্ৰজার বাহুল্য হইতেছে। রাজার পাঁচ পুত্র , কোন অংশে ক্রটী নাই, যাবদীয় লোক সুখে কালক্ষেপণ করিতেছে, কিন্তু নবাব স্রাজের দৌলা অত্যন্ত দুবৃত্তি হইয়াছে ; মহারাজ চিন্তান্বিত আছেন, দেশাধিকারী দুবৃত্ত, কখন কি করে ? মধ্যে মধ্যে পণ্ডিতদিগের প্রতি আজ্ঞা করেন, দেখ, দেশাধিকারী দুবৃত্ত, আপনারা সকলে ঈশ্বরের নিকটে প্রার্থনা করুন যে দুষ্ট অধিকারী এদেশে না থাকে ; কিন্তু অতি গোপনে আরাধনা করিবা, কদাচ প্রচার হয়। এইরূপে निख ब्रांखि) दांग कब्रिडtछन ।।” ( ब्रांडों ज्ञेय35अbशिख । ) এই রচনা সরল। কিন্তু বৰ্ত্তমান সময়ের গদ্য রচনার তুলনায় এই রচনাও অপকৃষ্ট বলিয়া বোধ হইবে। যাহা হউক, পূর্বে এইরূপ রচনাই প্ৰশংসনীয় ছিল । সমালোচকগণ এক সময়ে কৃষ্ণচন্দ্ৰচরিত্র কারকে বাঙ্গালার আডিসন বলিয়া নির্দেশ করিতেও সঙ্কুচিত হয়েন নাই। পরবর্তী গদ্যলেখকগণ প্ৰায় এইরূপ প্ৰণালীতেই গদ্য লিখিতেন। লিপিমালার গদ্য রাজাবলিতে এবং বেদান্তসূত্রের ব্যাখ্যায় বা সংবাদকৌমুদীতে উৎকর্ষ লাভ করে বটে, [ R ]