পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N8 সাহিত্য-পরিষৎ-পত্ৰিক । [ শ্রাবণ । উচ্চারণ বিষয়ে উড়িয়া ও বাঙ্গলার মধ্যে অনেক প্ৰভেদ দেখা যায়। উড়িয়ার উচ্চারণ অনেকটা দাক্ষিণাত্যের সংস্কৃত উচ্চারণের অনুরূপ। ঋ, ৯, বাঙ্গালার রি, লি, কিন্তু উড়িয়াতে রু, লু, রূপে উচ্চারিত হয়। যথা-গৃহ শব্দ উড়িয়ায় উচ্চারণ ॐ । বাঙ্গালায় ‘ণ” ও “ন’ এর উচ্চারণগত প্ৰভেদ নাই, কিন্তু উড়িয়াতে মূৰ্দ্ধন্য ণ এর ংস্কৃত উচ্চারণ সংরক্ষিত হইয়াছে।” বাঙ্গালায় একটী মাত্র ‘ল, কিন্তু উড়িয়াতে দন্ত ও মূৰ্দ্ধণ্য “ল” বিভিন্নরূপে লিখিত ও উচ্চারিত হয়। বাঙ্গালায় ‘কেন” এই শব্দের ‘কে” র একার যেরূপ উচ্চারিত হয়, উড়িয়াতে একারের সেরূপ উচ্চারণ নাই। সংযুক্ত বর্ণের মধ্যে “ষ্ণ” এর উচ্চারণ বাঙ্গালাতে ‘ষ্ট” এর মত, কিন্তু উড়িয়াতে “ষ’ এ দন্ত্য ন যোগ করিলে যেরূপ উচ্চারণ হয়, সেইরূপ। বাঙ্গালায় ‘ব’ ফলা প্ৰায়ই উচ্চারিত হয় না, কিন্তু উড়িয়াতে ‘ব’ ফলার স্পষ্ট উচ্চারণ আছে। উড়িয়ার আকারান্ত শব্দগুলির অন্ত্য অ সুস্পষ্ট উচ্চারিত হয়। এই সকল উচ্চারণের প্রভেদ নিবন্ধন উড়িয়া ভাষা বাঙ্গালীর নিকট রূঢ় ও কর্কশ বলিয়া বোধ হয়। ব্যাকরণের ব্যবস্থা সম্বন্ধে উড়িয়া ভাষা বাঙ্গালারই অনুরূপ। লিঙ্গপ্ৰকারণে স্ত্রীত্ব বুঝাইবার জন্য দেশজ এবং অপভ্রংশ শব্দস্থলে আণী ও উলী প্ৰত্যয় হয়। যথা, চামুণী (চাষা জাতীয় স্ত্রী), বণিয়াণী ( বেনে জাতীয় স্ত্রী) । উড়িয়াতে শব্দকে বহুবচনান্ত করিতে হইলে, একবচনান্ত শব্দের পরে ‘মন’ বিভক্তি প্রয়োগ করা যায়। ‘মন’ বিভক্তি'র উৎপত্তিসম্বন্ধে স্থিরাত্মক কিছুই বলিতে পারা যায় না। তবে “মান্য অর্থে বহুবচুনী” এই বাক্যকে উল্টাইয়া বহুবচনে ‘মান” প্রয়োগ করিবার রীতি উদ্ভাবিত হওয়া অসম্ভব নহে। উড়িয়াতে কৰ্ম্ম এবং সম্প্রদান কারকের ‘কু’ বিভক্তি হিন্দীর ‘কো” র লঘুকরণ বলিয়া বোধ হয়। উড়িয়া ভাষার অপাদানের ‘রু” বোধ হয় প্রাকৃতের ‘উ” র রূপান্তর। সম্বন্ধের DBDDu SDSL DD BBB BDDD kDBDBBBD DBDDS SDBBBBBD DBDDuD LLL MBuLDBDBD ‘এ’ র ভিন্নরূপ বলিতে হইবে। ‘এ’ প্ৰত্যয় কখন আবার একত্ববোধক, কখনও বা বহুত্ববোধক হইয়া থাকে ; যথা, জনে ( একজন ), লোকে ( লোকগণ ) । উড়িয়াতে আখ্যাত বিভক্তিগুলির মধ্যে নিত্য প্ৰবৃত্ত বৰ্ত্তমানের এবং অনুজ্ঞার প্রথম পুরুষ বহুবচনান্ত ‘অন্তি’ ও ‘অন্ত” প্ৰত্যয় সম্পূর্ণরূপে সংস্কৃত বা প্ৰাকৃত। বাঙ্গালার মত বৰ্ত্তমান এবং অনুজ্ঞার প্রথম ও মধ্যম পুরুষে একবচনে ‘এ’ ও ‘অ’ প্ৰত্যয় ব্যবহৃত হয়। উত্তম পুরুষে ‘এ’ প্ৰত্যয় হয়। উড়িয়াতে বিশুদ্ধ অতীত কালে প্ৰথম পুরুষে “লা’ ও ‘লোঁ, মধ্যম পুরুষে ‘ল, উত্তম পুরুষে ‘লি” ও “লু” বিভক্তি হয় ; যথা, সে কলা ( সে করিল), সেমানে কলে

  • এই পুরাতন উচ্চারণ বোধ হয় এখনও বাঙ্গলায় বিষ্ণু, কৃষ্ণ প্রভৃতি শব্দে দেখা যায়। বাঙ্গালায় ঐ সকল শব্দ বিষ্ট, কৃষ্ট ইত্যাদিরূপে উচ্চারিত হয়। 'ষ' এর নীচে 'ণ' যোগ করিলে 'ণ' উচ্চারণ ট” এর মত श्शेळ (कन श्रे ('