পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা । [ ሯቸሣ†ቔ | . হইয়াছে। ইহাতে পাঁচটি পালা আছে। যষ্ঠ্যাদি পঞ্চরাত্ৰিতে যথাক্রমে এই পাঁচটি পালা পঠিত হইত। নবমী ও দশমীর পালা তরুণ কবি রামপ্রসাদকর্তৃক রচিত হইয়াছিল। সুতরাং নবমী ও দশমী আমাদের আলোচ্য বিষয়। আমরা অদ্য নবমীরই গুণ পরীক্ষা করিব। সুধীগণের অগ্নি-পরীক্ষায় ইহার বিশুদ্ধি বা শুষ্ঠামিকা নির্ণয়ের জন্য মধ্যে মধ্যে কিয়দংশ উদ্ধৃত করিলাম। ইহার ভাষা সুমার্জিত না হইলেও শ্রুতিকঠোর নাহে ; প্ৰতিপত্রে কবির সেই স্বৰ্গ-মৰ্ত্ত্য-সঞ্চারিণী প্ৰতিভার বিকাশ না থাকিলেও ইহাতে কল্পনাদুৰ্ভিক্ষ লক্ষিত হইবে না ; ইহাতে মানবের মনোভাবনিচয়ের ঘাতপ্রতিঘাত দৃষ্ট না হইলেও ভাবদৈন্য প্ৰকাশিত হইবে না ; ইহাতে চিন্তার তরঙ্গোচ্ছাস না থাকিলেও ইহা অন্তঃসারশূন্য শব্দাড়ম্বর নহে ; ইহা দ্বারা ভাষার অপর কোন উপকার না হইলেও ইহাতে বঙ্গভাষার প্রাচীন স্তর পরীক্ষা করিবার উপযোগী উপাদান আছে। রামপ্রসাদ আনন্দোৎফুল্ল অন্তঃকরণে পিতার নিকট গ্ৰন্থ সম্পূৰ্ণ করিতে অঙ্গীকার করিালেন। গ্রন্থের বিষয়গৌরব ও নিজের সামর্থ্যস্বল্পতা স্মরণ করিয়া, ত্বরণ কবি মঙ্গলাচরণে যথোচিত দীনতা প্ৰকাশ করিয়াছেন আজ্ঞা পেয়ে হর্ষ হ’য়ে কৈানু অঙ্গীকার। মুষিক মস্তকে লৈল মন্দারের ভার। বামনবাসনা যেন বিধু ধরিবারে । পঙ্গু লজিঘবারে চায় সুমেরুশিখরে ৷ नदैौन क्षदि ख्रांनिश्डन সুছন্দ সুশব্দভার সরস সাগর। অমৃত অধিক কাব্য অতি মনোহর ॥৬ এইরূপ কাব্যরচনা সুসাধ্য নহে, তথাপি যে সাহসে তিনি “চাপিলায় প্রণোদিতঃ’ হইয়াछिgणन, उ5ाश শিশুর অন্মট বাক্য মিষ্ট লাগে সঙে। এমত জানিয়ে সভে সন্তোষ হইবে ॥ ইহার পর তিনি পূর্বকবিগণের নিকট করুণা ভিক্ষা করিয়া, বর্ণনীয় বিষয় আরম্ভ } 夺f称阿a一 রবিতুল্য কবিগণে অসংখ্য প্ৰণাম । কৃর্ণািলশ দিয়ে পূর্ণ কর মনস্কাম । BBDDSSDSDOBKD KKDS 啤 সভে কৃপারাপ তরি দিয়ে কর পার। O বামনের বিধুস্পর্শবাসনা বা পঙ্গুর পর্বত-লঙ্ঘনে অভিলাষ প্রভৃতি উপমার বহুল ব্যবহার -হেতু নূতনত্ব এবং মনোহারিত্বে এক্ষণে বিলুপ্ত হইয়াছে। কিন্তু বাঙ্গালা ভাষার শৈশব সময়ে এই সকল উপমার প্রয়োগ বিরসত্ব-দোষে দুষ্ট হয় নাই । সে সময়ে এই সকল উপমা শ্রোতৃবর্গের তৃপ্তিকর হইত, এইরূপ অনুমান করা যায়। মুষিকের মন্দারভার গ্ৰহণ উপমাটিতে কবির একটু উদ্ভাবনার পরিচয় পাওয়া যাইবে । “হর্ষ হয়ে”, “সন্তোষ হইবে।” প্রভৃতি ব্যাকরণদুষ্ট পদগুলি “আৰ্যপ্রয়োগ” তুল্য বুঝিতে হইবে।