পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RR లిeరి 1 মাইকেল মধুসূদন দত্ত। ዓ፭S প্রতি দৃষ্টি রাখিতে হয়। মধুসূদনের এরূপ দৃষ্টি ছিল না। তিনি স্বয়ং যেরূপ উচ্ছঙ্খল ছিলেন ; তঁহার কাব্যও সেইরূপ উচ্ছঙ্খলভাবের পরিচায়ক হইয়াছে। তিনি আত্মপ্রকৃতি ও আত্মারুচি অনুসারে কবিতাদেবীকে বিদেশীয় ভাবেরত্নে সজ্জিত করিয়াছেন। কিন্তু ঐ রত্ন জাতীয় প্ৰণালী অনুসারে যথাস্থানে সন্নিবেশিত হয় নাই। তঁহার নাটক-তাহার কাব্য প্রভৃতিতে যে সকল বিদেশীয় উপকরণ সংগৃহীত হইয়াছে, তৎসমুদয় জাতীয় ভাবের সহিত সম্মিলিত না হইয়া, বিজাতীয় ভাবেরই স্বাতন্ত্র্য প্ৰকাশ করিতেছে । তিনি স্বদেশীয় কাব্যকানন হইতে যে সকল ভাবিকুসুম চয়ন করিয়াছেন, তৎসমুদয় জাতীয় প্রকৃতির অনুগত হওয়াতে তদীয় কাব্যে জাতীয় ভাবের সমতা রক্ষা করিয়াছে। কিন্তু আত্মসংযমের অভাবপ্ৰযুক্ত মধুসুদন বিজাতীয় ভাবের মধ্যে জাতীয় ভাবের প্রাধান্যরক্ষা করিতে পারেন নাই। তিনি পাশ্চাত্য ভাবে এরূপ বিমুগ্ধ ছিলেন যে, স্বদেশীয় ভাষা পাশ্চাত্য সাহিত্যের ভাবে পরিপূর্ণ করিতে পরিলেই সন্তুষ্ট হইতেন। পাশ্চাত্য সাহিত্যের ভাব রাশি সৰ্ব্বাংশে তাঁহার নিকটে সমীচীন বোধ হইত। যে কোন প্রকারে হউক, ঐ সকল ভাব স্বদেশীয় সাহিত্যে সন্নিবেশিত হইলেই, তিনি সাহিত্যের চরমোৎকর্ষ হইল বলিয়া, চরিতার্থ হইতেন। এই জন্যেই তঁাহার নিকটে রামায়ণ অপেক্ষা ইলিয়াদের অধিকতর সম্মান ছিল ; এইজন্যই তিনি স্বদেশীয় পুরাণ অপেক্ষা গ্ৰীক পুরাণের অধিকতর গৌরব করিতেন এবং এই জন্যেই তিনি স্বদেশের উজ্জ্বল চরিত্রকে বিদেশের অপকৃষ্ট চরিত্রের ছায়াপাতে কলঙ্কিত করিয়া তুলিতেন। এ সম্বন্ধে শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত রাজনারায়ণ বসু মহাশয় লিখিয়াছেন-“আমরা যেমন বলিয়া থাকি, এ লোকটা দোষগুণে, মাইকেল মধুসুদনও তেমনি দোষগুণে কবি। প্ৰত্যেক 'কবিরই দোষগুণ আছে, কিন্তু “দোষে গুণে কবি” এই প্ৰয়োগের অর্থ এই যে, যেমন তাহার অসামান্য গুণ আছে, তেমনি অসামান্য দোষও আছে। ভাবের উচ্চতা, বর্ণনার সৌন্দৰ্য্য, করুণারসের উদ্দীপনা, তাহার এই সকল গুণ যখন বিবেচনা করা যায়, তখন তাহাকে । বঙ্গভাষার সর্বপ্ৰধান কবি বলিয়া বোধ হয়। কিন্তু যখন তাহার দোষ বিবেচনা করা যায়, তখন তাঁহাকে ঐ উচ্চ আসন প্ৰদান করিতে মন সঙ্কুচিত হয়। জাতীয় ভােব বোধ হয়, মাইকেল মধুসূদনেতে যেমন অল্প পরিলক্ষিত হয়, অন্য কোন বাঙ্গালীর কবিতাতে সেরূপ হয় না। তিনি তাহার কবিতাকে হিন্দুপরিচ্ছদ দিয়াছেন বটে, কিন্তু সেই হিন্দুপরিচ্ছদের নিম্ন হইতে কোট পাণ্টলন দেখা দেয়। আৰ্যকুলসূৰ্য্য রামচন্দ্রের প্ৰতি অনুরাগ প্ৰকাশ না করিয়া, রাক্ষসদিগের প্রতি অনুরাগ ও পক্ষপাত প্ৰকাশ • করা, নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে হিন্দুজাতির শ্রদ্ধাস্পদ বীর লক্ষ্মণকে নিতান্ত কাপুরুষের ন্যায় আচরণ BDDBDS DDD DDD BBDB DB DDBuDD DDBLLuK DBDB DDBDBS S BDBB DKDBBB স্থাপন,-বিজাতীয়ভাবের অনেক দৃষ্টান্তের মধ্যে এই তিনটি এখানে উল্লিখিত হইতেছে * ।” মধুসুদন মেঘদাদবধে বাল্মীকির পদচিহের অনুকরণ করিলেও উহাতে এইরূপ বিজাতীয়

  • বাঙ্গালী ভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক বক্ততা।