পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ত্রয়োদশ ভাগ).pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

प्रनन >७>७ } 守领项究示 源 S\9) ধৰ্ম্মমঙ্গল কাব্য যে পুথিকে বেদ বলিয়া মান্য করিয়াছেন সেই পুথির নাম *হাক ও পুরাণ” ইহা কোন হিন্দুপুরাণ বলিয়া মনে হয় না। হাকিও শব্দটি “সপ্ত খণ্ড” শব্দের অপভ্ৰংশ হইতে পারে। এই লুপ্ত বৌদ্ধ পুরাণটির উদ্ধার হইলে ধৰ্ম্মমঙ্গল সম্বন্ধে অনেক ঐতিহাসিকুe রহস্য উদঘাটিত হইতে পারে। ধৰ্ম্মমঙ্গল কাব্যে ধৰ্ম্মঠাকুরকে “শুন্যরূপী” “শূন্যমূর্তি” প্ৰভৃতি কথায় বর্ণনা করা হইয়াছে—“বলুকা” নদীর তীরে তঁহার একটা বিরাট পুজা অনুষ্ঠিত হইয়াছিল ; রামাই, কংসাই, নীল ও শ্বেত এই চারি বৌদ্ধ পণ্ডিতের নাম স্তোত্রের মধ্যে স্থান পাইয়াছে। ইহাদের মধ্যে ধৰ্ম্মপূজার পদ্ধতি লেখক রামাই পণ্ডিতের কথা আমরা পূর্বেই উল্লেখ করিয়াছি, অপর তিনজন সম্বন্ধে আমরা কিছুই পরিজ্ঞাত নাহি । কিন্তু বৌদ্ধ জগতের কথা লইয়া এই কাব্যের উৎপত্তি হইয়া থাকিলেও উত্তরকালে ইহা বিভিন্ন ধৰ্ম্মের দ্বারা প্ৰভাবান্বিত হইষাছে। হিন্দুধৰ্ম্ম ত ইহাকে একরূপ স্বাধিকার-চিহিত ठ**ब्रि क्षg eiडत করিয়া লইয়াছে ; এমন কি যে নিম্বাদিত্যের অবতার বলিয়া লাউসেনকে কল্পনা করা হইয়াছে, তিনি বৈষ্ণবগণের একজন নেতা। ঐতিহাসিক নিম্বাদিত্য লাউসেনের বহুপরবর্তী ব্যক্তি। কোন কোন স্থানে ধৰ্ম্মরাজের যে শ্বেতরূপের বর্ণনা আছে, তাহ হিন্দুশাস্ত্রোক্ত চতুর্দশ যমের অন্যতমরূপের সহিত অভিন্ন, বেদের “ধৰ্ম্ময় ধৰ্ম্মরাজার” প্ৰভৃতি স্তবের উদ্দিষ্ট দেবতার সঙ্গে ইহঁার একত্ব প্ৰতিপাদন করা যায়। কোন কোন পুরাণকার বুদ্ধদেবের সঙ্গে এই ধৰ্ম্মরাজের কথা গোলযোগ করিয়া ফেলিয়াছেন। কোন পুরাণে দৃষ্ট হয় ধৰ্ম্মরাজ শাপগ্ৰস্ত হইয়া হাড়িদের পুজা গ্ৰহণ করিতে বাধ্য श्शैोप्छन । হিন্দু ধৰ্ম্মের প্রভাবি-চিহ্ন এই কাব্যের প্রায় প্ৰতি পত্রেই দ্রষ্টব্য, কিন্তু মুসলমানী প্রভাবও এই কাব্য হইতে বাদ পড়ে নাই, কেন না ধৰ্ম্মঠাকুরের দ্বাদশ আঁস্তরঙ্গ-ভক্তের সঙ্গে ‘দ্বাদশ আমিনী”র কল্পনাও আমরা এই পুস্তকে প্রাপ্ত হইতেছি। বৌদ্ধজগৎ সম্বন্ধে অনেক কথাই আমরা বুঝিতে পারি নাই । এই পুস্তকের ৮২ পৃষ্ঠায় “জলোতে অ্যাকিয়া যন্ত্র যথাবিধি জ্ঞান । তদুপরি পদ্মপুস্প দিলা পড়ি ধ্যান ৷” এবং ২১১ পৃষ্ঠায় ৪৮,৪৯৫০ চরণে পদ্মের সম্বন্ধে যে সকল কথা লিথিত আছে, তাহা হিন্দুতন্ত্রোক্ত কিম্বা ‘ওঁ মণি পদ্মাহু” প্রভৃতি বৌদ্ধমন্ত্রের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত তাহা আমরা জানি না । ধৰ্ম্মঠাকুরের দ্বাদশপুজার কথাও কোন হিন্দুশাস্ত্ৰ नाहे । পুর্বেই উল্লিখিত হইয়াছে “হাখণ্ড পুরাণ” কোন হিন্দুপুরাণ বলিয়া মনে হয় না। “কুবা-দত্ত, ” “হরিচন্দ্র” প্ৰভৃতি প্ৰসিদ্ধ ভক্তগণের কথাও ধৰ্ম্মমঙ্গল ভিন্ন অন্য কোথায়ও আমরা পাই নাই। ধৰ্ম্মঠাকুরকে “প্ৰভু বাল্লার সখা।” বলিয়া উক্ত হইয়াছে এবং ধৰ্ম্মবিগ্ৰহসমূহের যে সকল নাম পাওয়া যায়, তাঙ্গুও কোন হিন্দুপুরাণে থাকা সম্ভবপর নহে, যথা-বেলডিহায় “বাঁকুড়ারায়”, গোপালপুরের “কঁকুড়া বিছা”, খামবাজারের “দলুরায়”, বৈতালের “ঝকৃভাই”, বেতারের “কেতিরেশ্বর” প্রভৃতি বহু বিগ্রহের নাম আমাদিগের নিকট সমস্তার ন্যায় বোধ হইতেছে ; অনেক স্থলে ইহঁদের অনাকার এবং পূজাপদ্ধতিও অদ্ভুত রকমের । মায়ণগড়ে লাউসেন পতিষ্ঠিত ধৰ্ম্মঠাকুরের ९ठाख्छठङखु ।