NტNტ সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা [ २द्म भ९थाँ অদ্বিতীয় পদকৰ্ত্তা ছিলেন। রাধামোহন ভণিতাযুক্ত পদসমূহের অনেক পদ ইহার রচিত। বৈষ্ণব দাস ও উদ্ধব দাস এই রাধামোহন ঠাকুরের মন্ত্রশিষ্য । শ্ৰীগৌরপদতরঙ্গিণী গ্রন্থের ৪৮৬ পৃষ্ঠায় ৮৫ সংখ্যক পদ যথা ‘গৌরাঙ্গ চাঁদের প্ৰিয় পরিকর দ্বিজ হরিদাস নাম । কীৰ্ত্তন উলাসী, প্ৰেম সুখরাশি, যুগল রসের ধাম৷ ইহা সবাকার, বংশ পরিবার যতেক ঠাকুরগণ। সবার চরণে রান্তিমতি মাগে বৈষ্ণব দাসের মন ৷” এই পদ হইতে স্পষ্টই বুঝা যায় যে, বৈষ্ণব দাস দ্বিজ হরিদাস ঠাকুর মহাশয়ের শিষ্য। ফলতঃ বৈষ্ণব দাস ও উদ্ধব দাস শ্ৰী রাধামোহন পদধ্যান করিয়া যে সকল পদ রচনা করিয়াছেন, ঐ পদে র্তাহারা তাহদের দীক্ষাগুরু টেয়ানিবাসী রাধামোহন ঠাকুরকেই উদ্দেশ করিয়াছেন। মালিহাটীনিবাসী পদাম্তিসমুদ্রগ্রন্থপ্রণেতা-রাধামোহন ঠাকুর নহে। উভয় রাধামোহন ঠাকুরীপাদ সমসাময়িক ছিলেন। টেয়া ও মালিহাটী গ্ৰাম পরস্পর সন্নিহিত, এইজন্যই ঐ ভ্ৰম উৎপন্ন হইয়া থাকিবো! বৈষ্ণব দাস র্তাহার গুরুবংশের বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়া “গুরুকুলপঞ্জিক” নামক পৃথক গ্ৰন্থ রচনা করেন, উক্ত গ্রন্থে দ্বিজ হরিদাস ঠাকুর মহাশয়ের বংশাবলীর বিবরণ বিস্তারিত ভাবে লিপিবদ্ধ আছে। এইবংশে টেীয়া শাখার সুবিজ্ঞ শ্ৰীযুক্ত রাধিকাপ্রসাদ, সুপণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত ললিত মোহন, শ্ৰীযুক্ত জগদীশ চন্দ্র ও শ্ৰীযুক্ত মুরলীমোহন বৰ্ত্তমান রহিয়াছেন। শেষোক্ত তিন জন কৃষ্ণকান্ত মজুমদারের কন্যবংশের গুরু। শ্ৰীযুক্ত ভদ্র মহাশয় বৈষ্ণব দাসের জীবনীসম্বন্ধে আচাৰ্য্যবংশকুলতিলক রাধামোহন ঠাকুর মহাশয়ের অধ্যক্ষতায় ও মুরশিদাবাদের নবাব মুরশিদ কুলি খ্যার মধ্যস্থতায় স্বকীয়া ও পরকীয়ার শ্ৰেষ্ঠত্ব অবলম্বনে যে বিচার হয়, ঐ বিচারের সন তারিখ লিখিতে গিয়া গুরুতর ভ্ৰম প্ৰমাদে পতিত হইয়াছেন। সন তারিখ লিখিতে গিয়া তিনি লিখিয়াছেন ১১১৭ সাল অর্থাৎ ১৬৪০ শকে এই বিচার হয় ( গৌরপদতরঙ্গিণী ১৩৭ পৃষ্ঠা )। পরে রাধামোহন ঠাকুরের জীবনী বর্ণনা সময় ঐ বিচার ১১২৫ সাল অর্থাৎ ১৬৫০ শকে সম্পন্ন হয় লিখিয়াছেন। ( গৌরপদতরঙ্গিণী ১৭১ পৃষ্ঠা )। ভদ্র মহাশয়ের কোন উক্তি ঠিক ? ১১১৫ না। ১১২৫ ? আবার ১৭১ পৃষ্ঠার ফুট নোটের প্রতি লক্ষ্য করিয়া ভদ্র মহাশয় লিখিয়াছেন, “১১২৫ এর সঙ্গে ৫৯৩ যোগ করিলে খৃষ্টীয় ১৭১৮ শাক श्श्न, ऊाश्। छ्छेङ ৭৮ বাদ দিলে ১৬৫০ শকাব্দ হয়” । ১৭১৮ হইতে ৭৮ বাদ দিলে ১৬৫০ ३ट्रेभ এ অঙ্কশাস্ত্ৰ তিনি কোথায় পাইলেন ? আর ইহার উপর নির্ভর করিয়াই তিনি সাহস সহকারে, বলিতেছেন, “অমৃতবাজার আপাস হইতে প্ৰকাশিত পদকল্পতরুর পরিশিষ্ট্রে ১৬৪০ শকাব্দ আছে, তাহা ভুল”। ভদ্র মহাশয় শ্ৰীগৌরপদতরঙ্গিণী গ্রন্থের ৪৭ পৃষ্ঠায় আচাৰ্য্য প্রভুর পুত্ৰ গতিগোবিন্দ, তৎপুত্র জগদানন্দ ও জগদানন্দের পুত্র রাধামোহন, সুতরাং রাধামোহনকে আচাৰ্য্যপ্ৰভুর প্রপৌত্র স্থির করিয়াছেন ; কিন্তু তিনিই আবার কয়েক পৃষ্ঠার পর ১৭০ পৃষ্ঠায় রাধামোহন
পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বাদশ ভাগ).pdf/৭০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।