পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नन >७०२] রাসায়নিক পরিভাষা । S89 বাঞ্ছনীয় নহে। কেহই সাহস করিয়া বলিতে পারেন না যে, এর চেয়ে উপযোগী শব্দ আর মিলিবে না। আজ একজন একটা পরিভাষা নিরূপণ করিয়া প্রচার করিলেন, কিছুদিন পরে আর একজন তাহার নানাবিধ অসঙ্গতি নির্দেশ করিয়া আর একটা নূতন পরিভাষা প্ৰণয়ন করিতে পারেন। ভাষার নিত্য পরিবর্তন দেখিয়া সাধারণে কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইবে, ও শাস্ত্ৰও স্তম্ভিত ও নিশ্চল হইয়া রহিবে। বিজ্ঞানের ভাষাকে অসম্পূর্ণতা ও অসঙ্গতি দোষ হইতে যথাশক্তি মুক্ত করিতে হইবে, ঠিক কথা। সুতরাং ভবিষ্যতের সঙ্কলকগণ নূতন পরিভাষা প্রণয়নে সম্পূর্ণ অধিকারী। কিন্তু পরিভাষার অন্য গুণ যে পরিমাণে থাক বা নাই থাক, পরিভাষায় স্থায়িত্ব গুণের আবশ্যকতা সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক। পরিভাষা ভাষারই প্রকারভেদ ; উহা কল্পিত ভাষা, অর্থাৎ বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য রচিত ভাষামাত্র। কিন্তু স্থিতিশীলতা ভাষামাত্রেরই সর্বপ্রধান লক্ষণ বলিয়া গণ্য। ভাষা স্থিতিশীলতাবর্জিত হইলে অর্থাৎ নিত্য পরিবর্তনশীল হইলে তাহার। আর ভাষাত্ব থাকে না । নিত্য পরিবর্তনশীল ভাষায় মানুষের কাজ চলে না । অধিকন্তু উহা iDD DDBDBD DBBDD DuD S DB S DD BB BBBD DD DDD DDBDBDBS কালসহকারে ক্রমিক পরিবর্তন বা সংস্কার হউক। ক্ষতি নাই ; কিন্তু নিত্য আকস্মিক ও ও মৌলিক পরিবর্তন বাঞ্ছনীয় নহে। সৰ্ব্বাঙ্গসম্পূর্ণ পরিভাষা প্রণয়নের জন্য জেদ ধরিয়া বসিয়া থাকিলে কাৰ্য্যনাশ মাত্র হইবে। সমাজের জীবন ব্যক্তির জীবনের ন্যায় দ্রুতবেগে তাহার পরিণামের অভিমুখে ধাবিত হইতেছে। সকলকেই সেই স্রোতে গা ঢালিয়া সঙ্গে সঙ্গে চলিতে হইবে। নিম্পন্দ ভাবে দণ্ডায়মান ও স্থির থাকিলে চলিবে না। অপেক্ষা করিবার সময় নাই। লাবোয়াশিয়ার রসায়নের জন্য যে পরিভাষা প্ৰস্তুত করিয়াছিলেন, তাহা সুন্দর ও মনোহর। এমন কি সমগ্ৰ বিজ্ঞানশাস্ত্ৰে ঐ ভাষার তুলনা নাই বলা যাইতে পারে। কিন্তু উহাও দোেষরহিত বা অসঙ্গতিবর্জিত নহে। এমন কি উহাতে এমন একটা প্রধান দোষ বৰ্ত্তমান আছে, যাহাতে উহার মূল অবিশুদ্ধ। লাবোয়াশিয়ার সিদ্ধান্ত করিয়াছিলেন, যৌগিক পদার্থ মাত্রেরই দুইটি ভাগ ; দুইটি বিপরীত ধৰ্ম্মাক্রান্ত ভাগ একত্র মিলিত হইয়া যৌগিক পদার্থ উৎপন্ন করে। লাবোয়াশিয়ার এই সিদ্ধান্ত করিয়াছিলেন, ও তদনুসারে তঁহার পরিভাষা প্ৰণয়ন করেন। লাবোয়াশিয়ারের সিদ্ধান্ত পণ্ডিতগণ কর্তৃক গৃহীত হইয়াছিল, এবং পরবর্তী রসায়নবিদেরা এই দ্বৈতবাদ আরও অভিব্যক্ত করিয়াছিলেন। কিন্তু আজ কাল এই সিদ্ধান্ত অনেকটা উন্টাইয়া গিয়াছে। যৌগিক পদার্থমাত্রে দুইটি বিপরীত উপাদান রহিয়াছে, এখন এরূপ স্বীকৃত হয় না। তথাপি লাবোয়াশিয়ার প্রণীত পরিভাষা অদ্যাপি অবলম্বিত রহিয়াছে। এই মূলগত দোষ সত্ত্বেও সেই প্ৰাচীন পরিভাষাকে কেহই প্রত্যাখ্যান বা বর্জন করেন নাই। সুতরাং কোন পরিভাষা যে নির্দোষ ও সর্বাঙ্গসম্পূর্ণ হইবে এইরূপ আশা করা যায় না। সাহসের উপর ভর করিয়া যথাসাধ্য সঙ্গতি দেখিয়া ও অসঙ্গতি নিরাকরণ করিয়া পরিভাষা