পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 . . সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা । [ বৈশাখ কাংশে বিশুদ্ধ ও প্রসাদগুণবিশিষ্ট। সে সময়ে গ্ৰন্থকার যে ভাবে ঐতিহাসিক বিষয়গুলির সংগ্রহ এবং যে ভাবে তৎসমুদয়ের বর্ণনা করিয়াছেন, তাহাতে র্তাহার বিস্তর প্রশংসা করিতে হয়। কাব্য ও অলঙ্কার প্রভৃতিতে র্তাহার যেরূপ পারদর্শিতা প্ৰদৰ্শিত হইয়াছে, দুজ্ঞেয় ঐতিহাসিক তত্ত্বের জটিলতার উদ্ভেদেও, তাহার সেইরূপ ক্ষমতা পরিস্ফুট হইয়াছে। প্রতাপাদিত্যচরিত্ৰ প্ৰকাশের সাত বৎসর পরে যে গ্ৰন্থ প্রচারিত হয়, তাহ রচনাগৌরবে: সুপাঠ্য গ্রন্থের মধ্যে পরিগণিত হইতে পারে। বাঙ্গালা ভাষার সমালোচক মহোদয়গণ প্রাবােধচন্ত্রিকার রচনার ন্যায় রাজাবলীর রচনারও প্রশংসা করেন না। তাঁহাদের মতে উভয় গ্ৰন্থই অপকৃষ্ট ভাষায় লিখিত। তাহারা মহাত্মা রাজা রামমােহন রায়কে বাঙ্গালা গদ্যের পরিমার্জনকৰ্ত্তা এমন কি সৃষ্টিকর্তা পৰ্য্যন্তও বলিয়া থাকেন। মহাত্মা রাজা রামমোহনের প্ৰতিভায় যে, বাঙ্গালা গদ্যসাহিত্যের উন্নতির সুত্রপাত হইয়াছে, তদ্বিষয়ে মতদ্বৈধা নাই। ধৰ্ম্ম ও সমাজসংস্কার বিষয়ক বাদ প্ৰতিবাদস্থলে রাজা রামমোহন ধীরভাবে যে রচনাশক্তির পরিচয় দিয়াছেন, সে শক্তি চিরকাল তঁহাকে প্রতিভাশালী মহাপুরুষের সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত রাখিবে। কিন্তু বাঙ্গালাগদ্যরচনাবিষয়ে শাস্ত্ৰদশী বিদ্যালঙ্কার, তত্ত্বদর্শী রাজার অপেক্ষা বোধ হয়, নিকৃষ্ট বলিয়া পরিগণিত হইবেন না। মৃত্যুঞ্জয় ইতিহাস লিখিয়াছেন, রাজা রামমোহন বেদান্তের আলোচনা করিয়াছেন। এক জনের বর্ণনীয় বিষয় যেরূপ সহজ, অপরের প্রতিপাদ্য বিষয় সেইরূপ দুৰ্ব্বোধ। এক জন অপেক্ষাকৃত সুগম পথ অবলম্বন করিয়া লিপিক্ষমতার পরিচয় দিয়াছেন। অপর জন নিরতিশয় দুৰ্গম মার্গে বিচরণ পূর্বক জটিল তত্ত্বের আবিষ্কার করিয়া, লিপিচাতুৰ্য্য দেখাইয়া গিয়াছেন। শাস্ত্ৰজ্ঞানে, যুক্তিবাদে, বিচারবৈচিত্র্যে, তত্ত্বনির্দেশে, উভয় লেখকের মধ্যে বিস্তর প্রভেদ। এ সকল বিষয়ে রাজার সহিত পণ্ডিতের তুলনা হইতে পারে না। রাজা পণ্ডিত অপেক্ষা পার্থিব ধনে যেরূপ সমৃদ্ধ, জ্ঞানধনেও সেইরূপ শ্রেষ্ঠ । এইরূপ বৈষম্য থাকিলেও রাজাবলীর রচনাকে বেদন্তের রচনা অপেক্ষা অপকৃষ্ট বলিবার কারণ দেখা যায় না। পূৰ্ব্বতন গদ্য রচনার রীতি অনুসারে রাজাবলীর রচনা কোমল, প্রাঞ্জল এবং স্থানে স্থানে ললিত পদবিন্যাসে শ্রুতিমধুর। এই স্থলে রাজাবলীর একাংশ উদ্ধত হইতেছে :- “রাজার ইন্দ্রব্রত, সূৰ্য্যব্রত, বায়ুব্রত, যমব্রত, বরুণব্রত, চন্দ্ৰব্রত ও পৃথিবীব্রত, এই সপ্তািব্রত অবশ্য কৰ্ত্তব্য, সে সপ্তািব্ৰত এই ৷ যেমন ইন্দ্ৰ বৰ্ষা চারি মাস জলেতে পৃথিবীকে সম্পূর্ণ করেন তেমনি রাজা ধনেতে ভাণ্ডার সম্পূৰ্ণ করিবেন। এই ইন্দ্ৰব্ৰত। যেমন সূৰ্য্য আট মাস পৃথিব্যাশ্ৰিত বৃক্ষাদি যাহাতে নষ্ট না হয় এমন করিয়া পৃথিবী হইতে রসের আকর্ষণ করেন, তেমনি রাজা প্ৰজাত্রিত পরিজিনাদির বাধা যাহাতে না হয় তেমন করিয়া প্ৰজা হইতে কর গ্রহণ করিবেন। এই সূৰ্য্যব্ৰত। যেমন বায়ু BB S SDDBD DBDB D BDBDD DBBtB DDD BDBDDB DBDBDB D DD DBD BBBD বাহ্যাভ্যন্তর ব্যবহার জানিয়া থাকিবেন এই বায়ুব্রত। যেমন যম নিয়মিত মৃত্যুকাল পাইয়া