পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88. সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা । [ বৈশাখ রায় যে বিষয়ের অবতারণা করেন, তাহার বিচারসূত্রে তদীয় প্রতিদ্বন্ত্বিগণও গদ্য গ্রন্থ লিখিতে প্ৰবৃত্ত হয়েন। মুদ্রাযন্ত্রও এ বিষয়ের সবিশেষ সহায়তা করে। কাকসটন যেমন ইংলণ্ড মুদ্রাযন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করিয়া, গ্ৰন্থ প্রচারের সুবিধা করেন, স্যার চার্লস উইলকিন্স সেইরূপ বাঙ্গালায় অক্ষর প্রস্তুত করিয়া গ্ৰন্থ প্রচারের সুবিধা করিয়া দেন। এইরূপে ক্রমশঃ বাঙ্গালা शएश्लू डेनडिब्र प्रयोंड श् । পূৰ্ব্বতন সময়ে যে সকল ইংরেজ এদেশে আসিয়া এতদ্দেশীয় ভাষা অভ্যাস করিতেন, তঁহাদের অনেকেরই আপনাদের ধৰ্ম্মমত প্রচার করা এবং আপনাদের আচারব্যবহারের প্ৰাধান্য কীৰ্ত্তন করা উদ্দেশ্য ছিল। এই উদ্দেশ্যে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মপ্রচারকেরা বঙ্গদেশের স্থানে স্থানে বাফ্ল্যােলা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। এই সকল বিদ্যালয়ে অধ্যাপনাৰ্থ তাহদের অনেকে বাঙ্গালাগ্ৰন্থ প্রচার করেন। মালদহ জেলার ইলার্টন সাহেব (ইনি এক জন নীলকর ছিলেন ) “গুরুশিক্ষা” ; বৰ্দ্ধমানস্থ খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মপ্রচার-সমাজের সংস্থাপক কাপ্তেন ষ্টয়ার্ট '- দেশকথা” ; চুচুড়ার পিয়ার্সন সাহেব “বাক্যাবলী”। প্রভৃতি পুস্তক প্রকাশ করিয়াছিলেন। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের ছাত্রেরা পারসী, উর্দু বাঙ্গালা প্রভৃতি ভাষায় রচনা লিখিতেন। প্ৰকাশ্য সভায় এই রচনাসম্বন্ধে বিচারবিতর্ক হইত। ১৮০৩ অব্দে হাণ্টার নামক একজন সাহেব বাঙ্গালায় জাতিভেদ সম্বন্ধে রচনা লিখেন। ফোর্ট উলিয়ম কলেজে যে সকল সাহেব বাঙ্গালায় শিক্ষিত হইতেন, তঁহাদের বাঙ্গালা গদ্য কিরূপ ছিল, তাহা ঐ রচনার উদ্ধত অংশে জানা যাইবে :- “অন্য শাস্ত্ৰ যদি ভাষাতে তৰ্জমা করে তবে সংস্কৃত শাস্ত্রের গৌরবহানি প্ৰযুক্ত তাহার অখ্যাতি হয়। যেমন মহাভারতের তর্জমা ভাষাতে কাশীদাস নামে এক শূদ্র করিয়াছিল সেই দোষেতে ব্ৰাহ্মণেরা তাহাকে শাপ দিয়াছিল। সেই ভয়েতে অন্য কেহ এখন সে কৰ্ম্ম করে না । “হিন্দু লোকেরা যদিও আপনি শাস্ত্রের নিশ্চয়েতে থাকে। তবে অন্য দেশের বিদ্যা ও ব্যবহার যদি ভালও হয় তবু তাহা গ্ৰহণ করিতে পারে না। যদি অন্য দেশের বিদ্যা ও ব্যবহার দেখে কিম্বা শুনে তথাপি তুচ্ছ করিয়া আদর করে না। অতএব অন্য লোকের ব্যবহারেতে তাহারদের জ্ঞান লাভ হইতে পরিবে না। “অন্য দেশের গমন ও অন্য দেশের ব্যবহার দর্শন ও অন্য দেশের বিদ্যাভ্যাসেতে লোকের বুদ্ধি বুদ্ধি হয়। হিন্দু লোকেরদের শাস্ত্রের মতে পশ্চিম আটক নদী পার হইলে জাতি যায় উত্তরে ভোটান্তর এবং স্লেচ্ছ দেশেও সেই মত এবং ব্ৰহ্মপুত্র পার হইলে পূৰ্ব্ব ধৰ্ম্ম নষ্ট হয়। দক্ষিণে সমুদ্র পথে জাহাজে থাকিয়া ভোজন পান করিলে জাতি যায় হিন্দু শাস্ত্রের মতে গোখাদকের সংসর্গ করিলেও দোষ ; হিন্দু ছাড়া যত লোক সকলেই গোমাংস খায়। অতএব হিন্দুরা তাহারদের সহবাস করিতে পারে না এবং যেমন নির্জন উপদ্বীপে কোন ব্যক্তি একাকী থাকে। সেই মত এই একাসাড়িয়া রীতিতে তাহারদের বুদ্ধি প্ৰতিভা खफ़िलूड श्वांछ qद DBDDBBDDB BDD tBgB DDBD BDB BDS SD BDBD DDDBBuDu BD DBBBDDBB BD