পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (নবম ভাগ).pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*न्म s००० } তমলুক । GS আদেশ দিয়াছিলেন যে, তাহাকে প্ৰত্যহ একটি জীবিত সউল মৎস্য দিতে হইবে। সে তাহার এই আদেশ প্ৰতিপালন করিতে না পারায় তিনি তাহার প্রাণদণ্ডের আদেশ দেন । ধীবর প্রাণভয়ে পলাইয়া এক জঙ্গলে আশ্রয় লইলে মহাদেবী ভীমা, তাহার নিকটে উপস্থিত হইয়া প্ৰত্যাদেশ করেন যে, তিনি ধীবরের বাড়ীতে থাকিয়া প্ৰত্যহ মৃত মৎস্য জীবিত করিয়া দিবেন। ধীবর যে সময়ে ঐ মৎস্য যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায়, সেই সময় অনেক মৎস্য ধরিয়া শুকাইয়া রাখিত। পরে মহাদেবী ভীমা, একটী কুপের জল ছিটাইয়া দিয়া প্ৰত্যহ একটি একটি করিয়া মৃত মৎস্য জীবিত করিয়া দিতেন। ধীবরের আর কখনও মৎস্য দিতে ক্ৰটী হয় না দেখিয়া, রাজার মনে সন্দেহ হয় , তিনি তাহার নিকট হইতে কৌশলে সমস্ত জানিয়া লইলেন। মহাদেবী ভীমা ধীবরকে এইরূপ বিশ্বাসহন্তা দেখিয়া তাহাব আবাস ছাড়িয়া প্ৰস্থান করেন। যাইবাব সময় আপনার প্রস্তরময়ী মূৰ্ত্তি সেই কুপের মুখে স্থাপন কবিয়া কুপ বন্ধ কবিয়া দেন। রাজা বহু চেষ্টা করিয়াও সেই মূৰ্ত্তি স্থানান্তর করিয়া কুপের জল বাহির কবিতে পারলেন না। তখন তিনি সেই মূৰ্ত্তির উপর একটা সুন্দর মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন। সেই মন্দিবই বৰ্ত্তমান ভীমার মন্দির । কেহ কেহ বলেন, এই কুপের জলে যে কেবল মৃত সঞ্জীবন গুণ ছিল তাহা নহে, ইহার জলে ডুবাইলে অন্য ধাতু স্বর্ণ হইযা যাইত। জনশ্রুতি এই রূপ যে ধনপতি সদাগর একদা বাণিজ্যে যাইবাব সময় তাহার পোত হইতে দেখিতে পান যে একজন লোক সুবৰ্ণ পাত্রে জল লইতেছে । তাহাকে জিজ্ঞাসা করি যা জানিলেন যে এই কূপের জলে सूदाईश তাহার পিতলের পাত্ৰ সুবৰ্ণময হইয়াছে । ধনপতি সহবস্থিত সমস্ত পিতলের বাসন ক্রয় করিয়া এই কূপে ডুবাই যা দেখলে ন স, স্তষ্ট স্বর্ণ হইয়া গেল। তিনি সিংহলে এই সমস্ত সুবৰ্ণপাত্ৰ বিক্রয় করিয়া ও ভূত ধন সঞ্চয্য করিয়া প্ৰত্যাবৰ্ত্তন কালে এই ভীমার মন্দির প্রস্তুত কবিয়া দিয়াছিলেন । এই মন্দিবসংলগ্ন একটি কুপে স্নান করিলে বন্ধ্যাদোষ নিবারণ হয়, এইরূপ সাধারণ লোকের বিশ্বাস । বহুদুব হইতে অপুত্ৰক বন্ধ্যানাবীগণ দলে দলে আসিয়া এই কূপে স্নান করিয়া থাকেন। ডুব দিয়া যিনি যাহ। পান। তিনি তাহা আপন মস্তকের কেশে রজ্জ্ব প্ৰস্তুত করিয়া তীরস্থিত একটী বৃক্ষে ঝুলাইষা রাখিয়া যান। পুত্র হইলে আসিয়া ভীমার পুজা দেন। লোকে আশ্চৰ্য্য হয় যে এত জিনিষ এই কুপে কোথা হইতে আসে। বোধ হয় মন্দিবের অধিকারী ব্ৰাহ্মণ মধ্যে মধ্যে ইটের ঢিল ও অন্যান্য দ্রব্য উহাতে নিক্ষেপ করেন। তাহতেই কুপের তলে কখনও ঐ সকল দ্রব্যের অভাব হয় না। এই মন্দিরের অদূরে “কপালমোচন” তীর্থ। মহাদেব সতীর মৃত্যুতে অধীর ও ক্ৰোধান্ধ হইয়া দক্ষিকে হত্যা করেন । গুরুজন হত্যা পাতকে দক্ষের মস্তক শিবের হাতে লাগিয়া রহিল, কিছুতেই তাহা ফেলিয়া দিতে পারিলেন না। ব্ৰহ্মার উপদেশে তিনি এই পৃথিবীন্থ সমস্ত তীৰ্থস্থান পরিভ্রমণ করিলেন, তথাপি দক্ষকপাল তাহার হস্তচু্যুত হইল না । তিনি