পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (নবম ভাগ).pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tR সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ •ध न१थ! পুনরায় ব্ৰহ্মার দ্বারস্থ হইলে ব্ৰহ্মা তাহাকে তামলিপ্তের ভীমামন্দিরের কূপে মান করিবার উপদেশ দিলেন। মহাদেব তাহাই করিলেন। এই কুপে স্নান করিলে সেই নরকপাল তাহার হস্ত হইতে খসিয়া পড়িল । এই জন্য এই কুপকে লোকে কপালমোচন তীৰ্থ বলিত। ইহাতে স্নান কবিলে নরহত্যা জনিত পাপ ও বিদূরিত হইত। রূপনারায়ণ এই কুপ DBDD BBBBD KD DBDDDS LgBDg DBDBDS SBD S DBD DBDBBDS sBBDB DBDBDDBB রাখিয়া বিস্তীর্ণ চব পড়িয়া নদী বহুদূরে সবিয়া গিয়াছে। পৌষ মাসের সংক্রান্তি দিনে এখানে বহুলোকের সমাগম হইয়া থাকে । সমাগত নির নারী এই সুতীখালের কর্দমাক্ত জলে স্নান করিয়া আপনাদিগকে পাপমুক্ত মনে করেন। উপরোক্ত দেব মন্দির ছাড়া এখানে আর একটি ঠাকুর বাড়ী আছে, তাহাকে মহাপ্ৰভুর বাটী বলে। এখানেও অনেক লোকের খাইবার বন্দোবস্ত আছে । মহাপ্ৰভুর অনেক ভূসম্পত্তি ছিল। এখনও অনেক আছে, তবে কেহ দেখিবার লোক নাই। মন্দিব সেবকগণ অনেক সম্পত্তি নষ্ট করিয়া ফেলিয়াছেন এখনও করিতেছেন । বর্গভীমার মন্দির অতি প্ৰাচীন বলিয়া বোধ হয়। কেহ কেহ অনুমান করেন যে ইহা এক সময়ে বৌদ্ধ মন্দির ছিল তাহাই পবিবৰ্ত্তন কবিয়া ইহাকে হিন্দু মন্দির করা হইয়াছে । মন্দিরের গঠন দেখিলে বোধ হয় যেন একটি ছোট মন্দিরের উপর আর একটি মন্দির গাথা হইয়াছে। নদীর ভাঙ্গনিতে অনেক প্ৰাচীন মুদ্রা পাওয়া গিয়াছে । এই সমস্ত প্ৰাচীন মুদ্রা বৌদ্ধ সময়ের, ইহাতে হস্তী ও বৌদ্ধ মন্দিরের চুড়া অঙ্কিত আছে । তাহাতে বিলক্ষণ জানা যাইতেছে যে, এক সময়ে বৌদ্ধ রাজগণ এই স্থানে রাজত্ব করিয়াছেন । এই সকল মুদ্রা এখন পৰ্য্যন্ত ভাল কবিয়া পৰ্য্যবেক্ষণ করা হয় নাই। কেহ কেহ অনুমান করেন, যে বৌদ্ধ রাজা ফুনন্দের নাম পালিভাষায় “ফোনো কেনি” মুদ্রায় অঙ্কিত আছে । আবাব কতকগুলি মুদ্রায় হবি।ণ সিংহ ও হস্তী চিহ্ন অঙ্কিত আছে । এই শেষোক্ত মুদ্রাগুলি যে হিন্দু রাজত্ব সময়ে প্ৰচলিত ছিল, তাহার আর সন্দেহ নাই । কাবণ বৌদ্ধ মুদ্রায় হিন্দুর স্বস্তিক চিহ্ন কখনই অঙ্কিত হওয়া সম্ভব হয় না। এই সমস্ত মুদ্র তমলুক স্কুল লাইব্রেরীতে রক্ষিত আছে । পঞ্চম শতাব্দীর প্রথম ভাগে ফাহিয়ান এই স্থান দর্শন করিতে আসিয়াছিলেন, আর এই স্থান হইতেই তিনি পোতারোহণ করিয়া সিংহল যাত্ৰা করিয়াছিলেন। আবার ৬৩৫ খৃষ্টাব্দে হিউএনসাং নামক আর এক জন চীন দেশীয় পরিব্রাজক তমলুকে আসিয়া ইহার তাৎকালীন ইতিহাস লিখিয়া গিয়াছেন। তিনি ইহাকে সমুদ্রোপকূলবৰ্ত্তী নগর দেখিয়াছিলেন । আর তখনও বৌদ্ধধৰ্ম্ম অপ্ৰতিহত প্ৰভাবে বিরাজিত ছিল । তিনি দশটি বৌদ্ধ মন্দির, এক সহস্ৰ বৌদ্ধ সন্ন্যাসী এবং দেড় শত হস্ত উচ্চ অশোক রাজার স্তম্ভ দেখিয়াছিলেন । এই সমস্ত বিষয় পৰ্য্যালোচনা করিলে, বোধ হয় ধাহারা অনুমান করেন, বর্গভীমার