পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চদশ ভাগ).pdf/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা S ጫ বুঝি। যাহারা বাগলা শব্দের ও বাগলা ব্যাকরণের পক্ষে, তাহদেরও প্রচুর হেতু আছে। দুই পক্ষেই বিদ্বান ব্যাকতিরা তর্ক বিতর্ক করিয়াছেন । ইহাতে অনুমান হয় দুই পক্ষেই মিলনের পথ খুজিতেছেন। বস্তুতঃ সকল বিষয়েই সাম০িজস্য আবশ্যক । বাণ গলা ভাষায় সংস্কৃত শব্দ আছে বলিয়া কিংবা তাহাতে বেশ চলে বলিয়া যেখানে সেখানে নুতন নুতন স^স্কৃত শব্দ বসাইতে হইবে, এমন কথা কি আছে। বা0গলা ভাষায় সংস্কৃত শব্দ যতই থাকুক, সে শব্দে বিভকতি ও প্ৰত্যয় থাকে, এবং সে বিভকৃতি ও প্ৰত্যয় বাণ গলা বই সংস্কৃত নয়। কতাকৰ্ম্ম বৃথা, যদি ক্রিয়া না থাকে, এবং ক্রিয়াও নিরর্থক যদি প্ৰত্যয়ের অভাব ঘটে । বাণ গলা ভাষায় অন্ততঃ ক্রিয়াপদগুলি বাণ গল ; এবং কে না জানে ক্রিয়াপদই ভাষার প্রাণ ? বাগলার যে সকল শব্দ সংস্কৃতের কিঞ্চিৎ রুপান্তর, সে সকল শব্দ অল্পে অল্পে এক্ষণে সংস্কৃতের রূপ পুনঃ প্ৰাপ্ত হইতেছে ; সংস্কৃত রূপ হইতে বাণ গলা শব্দটি দুরভ্রষ্ট হইয়া থাকিলে সাবধান লেখকের সংস্কৃত-প্ৰাকৃত রুপ চিন্তা করিয়া শব্দটি বানান করিতেছেন। বাগলা শব্দের মূল যাবনিক কিংবা ইংরেজী হইলে বানানে সেই মূলের কাছাকাছি আঁানিবার চেষ্টা আছে । কারণ কোমে একটা আদর্শ না থাকিলে ভাষার বিশৃংখলা ঘটে । * আমরা মুখে যত স্বেচ্ছাচারী হই না কেন, কাজে শৃংখলা বা নিয়মকে খুব ভয় করি। যে সকল শব্দে সংস্কৃত, যাবনিক কিংবা ইংরেজী মূল স্পষ্ট নহে, কিংবা যে শব্দের মূল অদ্যাপি অজ্ঞাত আছে, সেখানে লেখকদিগের মধ্যে মতভেদ আছে। কেহ কেহ নিজের নিজের উচ্চারণ ঠিক মনে করিয়া বানান করেন, কেহ বা সেরুপ শব্দ ছাড়িয়া সংস্কৃত প্রতিশব্দ প্রয়োগ করেন । কারণ লেখকের নিজের উচ্চারণ ঠিক না হইতে পারে। বাগলা ব্যাকরণ ও কোশ আঁভাবে এইরুপ অনেক শব্দ লিখিত ভাষায় প্রবেশ করিতে । °८ट्र व्ठे ! ৪২ ৷ অথচ যদি বাণ গল। সাহিত্যদ্বারা বা0গালীর উন্নতি আঁকা ০ অক্ষা করি, তাহা হইলে গ্ৰাম্য শব্দ খুজিয়। বাহির করিতে হইবে, সাধু বাণ গলা ও প্রাকৃত বাণ গলার প্ৰাকৃত বা ০ গলা ভাষার প্রভেদ কমাইতে হইবে, এবং কথিত ভাষার অনেকাংশ লিখিত ভাষা भान्द्र बाल७क । করিয়া লইতে হইবে । সংস্কৃত ভাষার গৌরবের দিনে যে প্ৰাকৃত ভাষা ইতর লোকের ভাষা ছিল, তাহাই কি পরে “ভদ্র’ লোকের ভাষাকে পরাভূত করে। নাই ? আমরা কি সেই ‘ইতির’ ভাষা লইয়া বাণ গলা ভাষার গৌরব করিতেছি না ? সাধু লাটিন কি প্ৰাকৃত লাটিনকে আসন ছাড়িয়া দেয় নাই ? কে জানে কবে প্ৰাকৃত বা”গলা সাধু বাণ গলাকে হারাইয়া দেয় ? বৰ্ত্তমানের প্রতি আঁবিজ্ঞা এব” প্রাচীনের প্রতি সোৎসুক দৃষ্টি রাখিলে প্রাচীন কি নবীন হইবে ? আঁতি পরিচয়ে অবজ্ঞা আসে। কিন্তু, নিজের মাতৃভাষার প্রতি আঁবিজ্ঞা আঁর নিজের প্রতি আঁবিজ্ঞা এক কথা । যে জাতি, নিজেকে আঁবিজ্ঞা করে, নিজের ভাষাকে করে, নিজের আঁাচার ব্যবহারকে করে, তাহার উন্নতির লিখিত বাণ গলার শব্দ