পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চদশ ভাগ).pdf/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা voy কন্নার শব্দ হইয়াছে, এবং এই রুপেই কোন কোন ইংরেজী শব্দ শহর হইতে গ্রামে ঢুকিয়াছে। এই সকল ইংরেজী শব্দ কালে যে বাগলা শব্দবৃপে গণ্য হইবে, তাহাতে সন্দেহ নাই। এমন কি, ইহারই মধ্যে কোন কোন ইংরেজী শব্দের সহিত দেশী ও খাস সংস্কৃত শব্দের বিবাহ সম্বনধ ঘটিয়াছে, কোন কোন সংস্কর মিলনে বণশ বিস্তার হইতেছে এবং কোথাও আদি কলহ ভুলিয়া দেশী ভাষা বিদেশীকে সাদরে বরণ করিয়া লইয়াছে। এক ভাষা অন্য ভাষার সহিত যুদধ করিয়া তাহাকে টিপিয়া মারে না । তাহাকে আঁল্পে অল্পে দূরে সরাইয়া দেয়, এবং শেষে তাহার জায়গা দখল করে। শেষ ফল মরণ বা তিরোধান বটে, কিন্তু প্ৰক্ৰিয়াটা প্রথম হইতেই মারাত্মক নহে। ভাষার শব্দ সম্বনধে যে কথা, তাহার প্রত্যেক অঙ্গ সম্বন্নধেও সেই কথা । প্ৰাচীন BzKB BBDBBB zT DBBB BBBBB BDD SsODD BDBBDBS BBBBBBB DDBBB DBBDBBDBB বাধিতে পারে না । প্ৰাচীন বানান, প্ৰাচীন উচ্চারণ, প্ৰাচীন লিখন, বিবতনের নিয়মে বতমানে আসিয়াছে। এখন “অনুবাদিত’ ও ‘৭াধিত’ শব্দে স০ষ্কৃত ব্যাকরণের ভয় দেখাইলে চলিবে কি ?” এখন কৃত্তিবাসের নাচাড়া ছন্দ ফিরিয়া আসিবে কি ? এখন চ%ডীদাসের “যাঞ|” লিখিলে কেহ বুঝিবে কি ? প্রাচীন দ্রবময়ী মসী এখন সৰীসের মূতি ধরিয়াছে, মুদ্রাকারের কলাচাতুর্যে সে মূতির নানা বেশ দেখা যাইতেছে। ভাষার এমন কোন অ’ গ নাই, যেখানে তাহার বিকার বা স০স্কার না ঘটিতেছে । জাতির লক্ষণে স্থায়ী আকৃতি সমূহ বুঝায়। বাপগলা ভাষার নির্মাণে কোন অংশ স্থায়ী ? সেই স্থায়ী আগশ অবিকৃত রাখিয়া অস্থায়ী বা অচিরস্থায়ী অeশ সুবিধামত পরিবতন করিলে ভাষার কোন ক্ষতি হইবে না । জীব-বিদ্যার প’ডিতেরা বলেন, যে জীব নিজেকে বহিঃ প্ৰকৃতির যোগ্য করিয়া লইতে পারে, সেই টেকে ! জীবের নিরন্তর চেষ্টা কালানুসারী হওয়া ; কারণ, অন্যথায় তাহার মরণ । সেই চেষ্টায় সে আকার এবং স্বভাব পরিবর্তন করে । জীবন্ত ভাষারও লক্ষণ এই ৪৬ । এখন উপসংহার করি । প্ৰায় ত্ৰিশকোটী মানুষ এই ভারতখণডে বাস করিতেছে, কৰ্মসুত্রে ইহারা পরস্পরের মা” গল অমংগল বিধান করিতেছে, কখনও প্ৰত্যক্ষভাবে কখনও পরোক্ষভাবে, পরস্পরের সাহায্য আশা করিতেছে । কিন্তু যে যন্ত্র বা উপায় দ্বারা ইহারা মানবের গন্তব্য পথে চলিয়াছে, তাহার বিভিন্নতা হেতু অধিকাংশ পরস্পরের প্রতিবেশী হইয়াও দুরবাসী হইয়া রহিয়াছে। ষে ধ্বনি প’জাবে শোনা যায়, তাহা ত্ৰিবাণীকুড়ে বোঝা ষায় না ; যাহা মাদ্রাজে শোনা যায় না, তাহ ব’গে পহুছে না। এমন কি, একই প্রদেশের বিভিন্ন মডেলের ধ্বনি লোকেরা পরস্পর বুঝিতে পারে না । ফলে ভারতবাসীর সামাজিকতার হানি হইয়াছে। এই অনিষ্টের প্রতিকার উদভাবনা এখন কতব্য হইয়াছে ? যাহাতে অন্ততঃ শিক্ষিত লোকেরা কোন এক ? সাধারণ ভাষা শিখিয়া উন্নতি পথের কণাটক দূর করিতে পারেন, তাহার উপায় চিন্তা আবশুক । ठ*tत • झाब्र ।