পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চদশ ভাগ).pdf/৩২১

rut সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা ‘’ ৷ \SO\2) বাগালী ভাষার শব্দ ও ব্যাকরণ লইয়া দেশের নানা প’ডিত নিজের নিজের মত ব্যক্তি করিয়াছেন। তঁহাদের মতের যথাসাধ্য আলোচনা করিয়া দেখা গেল, মূল বিষয়ে ভিন্নতা নাই, বিষয়ের সীমা লইয়া বিবাদ আছে। এরুপ বিবাদ চিরকাল থাকিবে, সকল । বিষয়েই থাকিবে । কারণ সমতায় সৃষ্টি-লয় । সীমা লইয়া মতভেদ আছে বলিয়াই বাগলা ভাষার ভবিষ্যৎ জীবন দীর্ঘ বোধ হইতেছে। জমির আইল আর বাগানের পগার লইয়া দেশে অল্প বিবাদ হয় না। কিন্তু বিবাদ হইলে বুঝি বিবাদ করিবার লোক আছে । হয়ত সকলের মত ঠিক বলিতে পারি নাই । যদি না পারিয়া থাকি, তাহার ' জন্য প’ডিতেরা দোষী। তাহার। ভুল বুঝিবার সম্ভাবনা রাখিলেন কেন ? তাহারা অনধিকারীকে প্রশ্ৰয় দিলেন কেন ? ভাষার সহিত সামাজিক শ্ৰীবৃদধির ষে ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধু আছে, তাহা স্মরণ করিয়া প’ডিতেরা এই তা ব্যবসায়ীর আলোচনায় কখনও তৃপ্তিলাভ করিতে পরিবেন না । ভাষাকে মানুষের উদভিঃলিত যন্ত্রবিশেষ মনে করিয়াছি । ইহাতেও । অনেকে লেখকের প্রতি বিরকৃত হইবেন । আশা করি, এই অতৃপ্তি ও বিরকতি উত্তেজনা স্বরুপ হইয়। তঁহাদের ঔদাসীন্য নষ্ট করিতে পারি বে। পরে রাঢ়ের কথিত ভাষা লইয়। উপস্থিত হইতেছি। সেতু বাধিবার নিমিত্ত ছােট কাঠবিড়ালী গাএ মাখিয়া কিছু বালি আনিয়া দিতে পারে। শিল্পী সে বালুক কণা • কোথায় ফেলিবেন, তাহা কাঠবিড়ালীর জানা আবশ্যক নয় । As