পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দীন ১৩০৫ । ] হরি ও সোয় । থাকিবে। সোমলতা চতুৰ্ব্বিংশতি প্রকার। ইহাদের মধ্যে অশুংমান, দ্বতগন্ধু, রাজত প্ৰভ, কদলীকন্দবৎকন্দ, মুঞ্জবান, লগুনপত্র, চন্দ্রমা ও কনকাত এই অষ্টবিধ সোমািজলে জন্মে। কতিপয় জাতীয় সোম বৃক্ষে জন্মে ; ইহারা বৃক্ষত্রে অহিনিৰ্ম্মোিকবৎ লম্বন্মান দৃষ্ট হয় । অপরাপর জাতীয় সোম বিচিত্ৰ ৰূর্ণসমূহে চিত্রিত। সৰ্ব্বজাতীয় ‘সোমেরই পঞ্চদশটি পত্র ; সকলই ক্ষীরকন্দ ও লতাবৎ । মহেন্দ্র, মলয়, শ্ৰীপৰ্ব্বত, দেবগিরি, হিমালয়, পায়িযাত্র, সত্ত্ব, বিন্ধ্য প্রভৃতি পৰ্ব্বতে এই সকল সোমের জন্ম। চন্দ্ৰমা-সোম সিন্ধু নদে শৈবালবৎ ভাসমান দৃষ্ট হয়। মুঞ্জবান ও অংশুমান সোম সিন্ধু নদেও পাওয়া যায়। স্ত্ৰৈষ্টভ-পাংক্ত, জগত ও শাকির প্রভৃতি সোম কাশ্মীরে ও ক্ষুদ্রমানস-সরোবরে পাওয়া যায়। গ্রন্থে এরূপই যন্ত্ৰীয় বা ওষধিরাজ সোমের বিবরণ দৃষ্ট হয়। সোমলতা ভারতবর্ষের কোথাও জন্মে। কিনা, তাহা আমি অবগত নাহি। শুনিয়াছি, কাশ্মীরে অন্যাপি সোমলতা পাওয়া যায় ; কিন্তু এই কথাটি কতদূর সত্য, তাহা বলিত্বে পারি না। C) বটব্যাল মহাশয় প্রবন্ধের এক স্থলে লিথিয়াছেন, “এখন আমাদের ব্রাহ্মণের সোমের • পরিবর্তে পুতিক ( পুইশাক ) ব্যবহার করেন, তাহাই এখন “সোমলতা’ হইয়া দাড়াইয়াছে।” পরলোকগত রমানাথ সরস্বতীও তদীয় ঋগ্বেদ-সংহিতার এক স্থলে “সোমাভাবে পুতিকামভিযুলুয়াৎ” এই বাক্য উদ্ধত কলিয়া লিখিয়াছেন যে,-“ষড়বিংশব্রাহ্মণেও মীমাংসাশাস্ত্রে সোমলতার অভাৰে পূতিকা ( পুইশাক ) বিধান আছে।” পুতৃিকা (পুক্তিকা ) শব্দের অর্থ ক্ষুদ্র মক্ষিক। “পুতিকা” না হইয়া ইহা “পুতিকা” হইলে, ইহার (১) পুইশাক, (২) পুতিকুরঞ্জলতা এবং বিড়ালী, এই ত্ৰিবিধ অর্থ অভিধানে দৃষ্ট হয়। অভিধানে “সোমপুস্তিকা” নামেও একটি শব্দ আছে; ইহার অর্থ,-“পুতিকরঞ্জলতা যজ্ঞে সোমলতার প্রতিনিধি হইয়া থাকেট-এরূপ লেখা আছে। পুইশাক কোন ক্রমেই সোমলতার অনুকল্প হইতে পারে না। “পুতিক ব্ৰহ্মঘাতিকা”, ইহা জানিয়াও কোন ব্ৰাহ্মণ পুইশাক ব্যবহার কয়িযেন। কি ? কুসুমফুল, শ্বেতকলমী, শ্বেতবেগুণ ও পুইশাক ভোজন করিলে বেদপারগ দ্বিজও পতিত হন, ইহাই স্মৃতির শাসন। স্মাৰ্ত্ত রঘুনন্দন-ভট্টাচাৰ্য লিখিয়াছেন,- "कूश्डर नालिकानाक९ झूठाकर शूडिकार ऊथा। ভক্ষয়ন পতিতন্তু স্তাদপি বেদান্তগে। দ্বিজ ।” সোম দেবতার পানীয় সন্দেহ নাই; কিন্তু সেই সোম সোমলতার রস না অমৃত তাঁহাই বিচাৰ্য্য। যজ্ঞীয় সোমরস দেবভোগ্য অমৃতের অনুকল্প কিনা তাহাও বিচাৰ্য্য । বটব্যাল মহাশয় নিজেই বলিয়াছেন যে, “ইন্দ্র একজন উৎকৃষ্ট নিরাকার দেবতা”। হরিহর ইন্দ্র নিরাকার হইয়াও সোমলতার রসপনের লোভে প্রাকৃত ব্যক্তির ন্যায় ঘোড়ায় বা রথে চড়িয়া অনিঘাৰ্য্যবেগে কিরূপে যজ্ঞস্থানে আগমন করেনু, তাহা আমি বুঝিতে পারি নাই। তিনি নিজেই লিথিয়াছেন,-“ইন্দ্ৰ কি বাস্তবিকই তীব্র সোমরস চুমুক দিয়া পান করিতেন। বলিয়া সে কালের ঋষিরা বিশ্বাস করিতেন ? কদাচি নহৈ।” “আমি বুঝি যে,-আবাহনই ইজের আগমনী,