পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৬০

Q° সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । 't sभ न९१I । C “গোসায় গর্গর বুড়ী উঠিতে পড়িতে । বসিল ব্ৰাহ্মণী যেয়্যা নন্দের বাড়ীতে ৷” তাহার পর উচ্চৈঃস্বরে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া বুড়ী নন্দালয়ে ভিক্ষ চাহিল। যশোদা-রোহিণী স্বর্ণখালে ভিক্ষা লইয়া আসিয়া প্ৰণাম করিল। শীতলা ভিক্ষা লইয়া নানা আশীৰ্বাদের পর বসন্তাভয়নিবারক নিজ প্ৰসাদী ফুল দিয়া বলিলেন ;- “সুখে স্বাস্থ্যে ঘর কর, শীতলার ফুলটি ধর, রোগ শোক বিস্ত্র যাবে দূর ৷ পুণ্যৱতী যশোমতী, "তোমা চেয়্যা ভাগ্যবর্তী, ত্ৰিভুবনে আছে কোনজন ।” তাহার পর কৌশলে স্বার্থ-সাধনে প্ৰবৃত্ত হইলেন,- “কহিব কহিব করি, বুড়া লোক বড় ডারি, পাছে কিছু করা থাক মনে। পূজা করা শীতলাই, বাড়ি দিবে গরু গাই, ছেলে দুটী থাকিবে কল্যাণে৷ শীতলাই স্বৰ্গ হইতে, পৃথিবীতে পূজা লইতে, বসন্ত আন্যাছে ষাটী ভার। যে দেশে প্ৰবেশ হয়, * * সদা রয়, মানেন ঔষধ প্ৰতিকার ৷ 峰 将 来源 米 事 নন্দকে সংবাদ দিয়া, ব্ৰজ গোপ গোপী লয়্যা, পূজা পুজ শীতলা-চরণ। আশীৰ্বাদ লেহ মোর, পুত্রের কল্যাণ তোর, ব্ৰাহ্মণীকে করাও পারণ ৷” তাহার পর শীতলা কিসের জন্য পারণ করিবেন, তাহাই বলিলেন,- “কপট করিয়া মাতা, সংযম ব্ৰতের কথা, কন বসা যশোদার পাশে । ভৃগুরাম মহামতি, নিক্ষত্ৰা করিলা ক্ষিতি, যে কালেতে তিন সাত বার । সেই রক্ত মাংস গ্রাসি, পুণ্যব্রত একাদশী, সত্যযুগে সংযম আমার ॥ ত্ৰেতাযুগে উপবাস, শ্ৰীরাম করিলেন নাশ, সীতার্থে রাক্ষস সমুদয় । তা সভার মাংস মেদে, ত্ৰেতান্তে মনের সাধে, ফলমূল করিলাম লঙ্কায় ৷ দ্বাপরে পারণার বিধি, গোকুল জাবটাবধি, গোপ গোপী আছে যত জনা । খোপালে ঠেকিবে দণ্ডে, আজি সভাকার মুণ্ডে, করা যাব তুলসী-পারণা ৷” তুলসী-পারণ অর্থে সামান্য পাৱণা । ব্ৰতাদির পর পারণ করা একান্ত কৰ্ত্তব্য, পারণ না করিলে ব্ৰতফল নষ্ট হয়, অথচ ব্ৰাহ্মণভোজনের পুর্বে গৃহীর আহার নিষেধ, এমত স্থলে হরিচরণ-প্ৰসাদী তুলসীপত্ৰমাত্র চর্বণ করিয়া গৃহী পারণ করিতে পারে,-প্ৰকৃত প্ৰস্তাবে ইহাই তুলসী-পারণা। মা শীতলা ত্ৰিযুগব্যাপিনী সংযম ব্ৰতের তুলসী-পারণা করিবার জন্য নন্দরাণীকে যে ফর্দ দিয়াছিলেন, তাহাতে তাহার ব্ৰহ্মাণ্ডভাণ্ডোদরী নাম সার্থক হয় বটে । শীতলা বলিলেন,- “লহে সুখে থাক শুন, লক্ষ ভার ফল আন, মৎস্য মাংস তোমাকে না চাই। যদি হইত। অন্য বাড়ী, তবে কি ছাড়িত বুড়ী, চাব কি তোর পুত্রকে ডরাই ৷ ভুঞ্জয়ে ব্রজের যত, ३६ cबांठा निधि झूड, ক্ষীর-সর চিনি মধু ছেনা। বিরোধ কি করে। আর, প্ৰতি প্ৰতি লক্ষ ভার, আন যাই করিয়া পারণা ৷