পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NSR সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা । [धं° Sfrtificer :-"Placed as you are between the learning of Europe and the mass of your countrymen, you may make yourselves their benefactors to an incalculable extent, by interpreting to them, in your vernacular tongue, what you have learnt in English.” শিক্ষাসমাজধ্যক্ষ মহোদয়ের এই কথার ভাবাৰ্থ এই :-“তোমরা একদিকে ইউ রোপের জ্ঞানভাণ্ডার অপর দিকে স্বদেশের জনসাধারণের মধ্যে অবস্থিতি করিতেছি । তোমরা ইংরেজিতে যাহা শিখিয়াছ, তাহা তোমাদের মাতৃভাষায় স্বদেশের জনসাধারণকে বুকাইয়া বহুলপরিমাণে তাহদের উপকার করিতে পাের।” ইহা অতি মহাৰ্থ উক্তি । প্ৰায় অৰ্দ্ধ শতাব্দী হইল, বঙ্গের শিক্ষাসমাজের অধ্যক্ষ মহোদয় যুবকদিগকে তাহদের মাতৃভাষার অনুশীলন জন্য এইরূপ সদুপদেশ দিয়াছিলেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয় নাই, গ্রামে গ্রামে ইংরেজী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় নাই, গৃহে গৃহে ইংরেজী শিক্ষার বহুল প্রচার হয় নাই। তখন সঙ্কীর্ণ স্থানে-সঙ্কীর্ণ সীমার মধ্যে ইংরেজী শিক্ষা আবদ্ধ ছিল। ইংরেজী শিক্ষার এইরূপ শৈশবাবস্থাতেও মহামতি কামোরণের সারগর্ভ উপদেশ নিস্ফল হয় নাই। পূৰ্ব্বে যে পণ্ডিতশ্রেষ্ঠের বিষয় উল্লিখিত হইয়াছে, সেই পণ্ডিতপ্ৰবর মহাত্মা কামোরণের সদুপাদেশের পর বিদ্যাকল্পদ্রুমপ্রচার করিয়াছিলেন । মহামতি কামেরণ প্ৰভৃতির পরেও অনেক সুপণ্ডিত ইংরেজ ইংরেজী শিক্ষিত যুবকন্দিগকে মাতৃভাষার আলোচনায় মনোযোগী হইতে উপদেশ দিয়াছেন। এস্থলে একটি দৃষ্টান্ত দেওয়া যাইতেছে। আপুনিক সময়ের বঙ্গের প্রধান কবি প্রথমে একখানি ইংরেজী কাব্য প্রণয়ন করেন । সেই কাব্যের একখানি মহামতি বঁটন সাহেবের নিকটে উপহারস্বরূপ প্রেরিত হয় । মহাত্মা বীটন সাহেব এই উপহার। পাইয়া বাঙ্গালীর বঙ্গ ভাষার প্ৰতি অবজ্ঞার জন্য দুঃখ প্ৰকাশ করেন । শেষে এই মহাকবি মাতৃভাষার সেবায় নিবিষ্টচিত্ত হয়েন, এবং অভিনব উপাদানে—অভিনব ভাবে নানা রত্ব দিয়া উহার শ্ৰীবৃদ্ধি করেন । কবি মাতৃভাষার হস্তে যে রত্নসমর্পণ করিয়াছেন, তাহারই জন্য আজ পৰ্য্যন্ত র্তাহার নাম বঙ্গের গৃহে গৃহে পরিকীৰ্ত্তিত হইতেছে। Captive Ladyার কবি বঙ্গের পাঠকসমাজে আদর লাভ করিতে পারেন নাই, এবং Captive Ladyার কবি টেনিসন বা ব্রাউনিং প্রভৃতির সমক্ষেও আসনপরিগ্রহে সমর্থ হয়েন নাই। কিন্তু মেঘনাদবধের কবি সর্বত্র সুপরিচিত ও সৰ্ব্বত্র সম্মানিত হইয়াছেন। মাতৃভাষার সেবার জন্য র্তাহার যশোরাশি সৰ্ব্বত্র প্রসারিত হইয়াছে। তিনি সন্তানে।াচিত কাৰ্য্যে যে কীৰ্ত্তিস্তন্ত স্থাপন করিয়া গিয়াছেন, মহাবিপ্লবেও তাহা বিপৰ্য্যস্ত হইবার নহে । ফলতঃ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিত সুবকগণ জাতীয় ভাষার আলোচনায় প্ৰবৃত্ত না হইলে স্বদেশে আদৃত বা স্বদেশের উপকারসাধনে সমর্থ হইবেন না। পুরাবৃত্তপাঠে অবগত হওয়া যায়, ভারতভুমি এক সময়ে সৰ্ব্ববিদ্যার প্রস্থতিস্বরূপ ছিলেন। জ্ঞানালোক