পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা । [ মাঘ سر6kb এই শব্দবিন্যাস যদি কবিত্ব হয়, তাহা হইলে ভারতচন্দ্রের ন্যায় কবি জগতে জন্ম গ্ৰহণ করেন নাই। তৎপরে উমার জন্মকথা উভয় কবি বর্ণনা করিয়াছেন। কুমারসম্ভবনামক অতুল্য কাব্যে কবিগুরু কালিদাস যে সকল কথা বর্ণনা করিয়াছেন, অর্থাৎ কামদেবের ভস্ম হওন, মতির বিলাপ ইত্যাদি বৃত্তান্ত বঙ্গীয় কবিদ্বয়ও বর্ণনা করিয়াছেন। দুই একটী অংশ উদ্ধত করিতেছি। কামকান্ত কান্দে রতি, কোলে করি, মৃত পতি, ধূলায় ধূসর কলেবর। লোটায় কুন্তল ভার, ত্যজে নানা অলঙ্কার, সঘনে ডাকয়ে প্ৰাণেশ্বর ৷ পড়িয়া চরণ তলে, রতি সকরুণে বলে, প্ৰাণনাথ করা অবধান । তিলেক বিস্মৃত হৈয়া, পাসরিলা প্ৰাণপ্ৰিয়া, দূর কৈলা সোহাগ সম্মান ৷ জাগিয়া উত্তর দেহ, রতিরে সঙ্গতি লহ, পাসরিলা পূর্বের পীরিত। তুমি নাথ যাবে যথা, আমি আগে যাব তথা, তবে কেন হৈল বিপরীত ৷ মোর পরমায়ু লয়ে, চিরকাল থাকি জীয়ে, আমি মারি তোমার বদলে । যে গতি পাইবে তুমি, সে গতি পাইব আমি, রহিব তোমার পদতলে ৷ মুকুন্দরাম। পতিশোকে রতি কঁাদে, বিনাইয়া নানা ছাদে, ভাসে চক্ষু জলের তরঙ্গে। কপালে কঙ্কণ মারে, রুধির বহিছে ধারে, কাম অঙ্গ ভস্ম লেপে অঙ্গে ৷ আলু থাল কেশ বাস, ঘন ঘন বহে শ্বাস, সংসার পূরিল হাহাকার। কোথা গেলা প্ৰাণনাথ, আমারে করাহ সাথ, তোমা বিনা সকলি আঁধার ৷