পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/২৯১

রাক্ষসগণ । A. ঐ পৰ্ব্বতকে ঈষৎ চাপিয়া ধরিলেন-দশাননের অঙ্গুলি বাহুসহ নিস্পিষ্ট হইতে লাগিল, রক্ষোরাজ যাতনায় ভীষণ চীৎকার করিতে আরম্ভ করিলেন। উপায়ান্তর না দেখিয়া তিনি মহেশ্বরের স্তব করিলেন, বহু মিনতিতে গ্ৰীত হইয়া দেবদেব তঁহার ভুজসকল মুক্ত করিয়া দিলেন এবং কহিলেন, “তুমি যাতনায় যে রব করিয়াছ, তাহাতে ত্ৰিলোক কঁপিয়া গিয়াছে, অতএব অতঃপর তোমার নাম হইল-রাবণ ।” রাবণ এই সময়ে দেবের নিকট হইতে অপর বর ও “চন্দ্ৰহাস” খড়গ লাভ করেন । উ ১৬ একদা মৃগয়ায় গিয়া রাবণ সকন্যা ময়দানবের সাক্ষাৎ প্ৰাপ্ত হন। দানববর র্তাহাকে কন্যা মন্দোদরী সম্প্রদান করিয়া আপন তপস্যালব্ধ অমোঘ শক্তি উপহার দেন। এই শক্তি রক্ষোরাজ যুদ্ধে লক্ষ্মণের প্রতি প্ৰয়োগ করিয়াছিলেন। छे ७२ একদা অরণ্যে রাবণ তপোরতা বেদবতী তাপসকুমারীকে দেখিতে পাইয়া তাহার উপর বল প্ৰকাশ করিতে যান ; বেদবতী তাহাকে এই অভিশাপ দিয়া অগ্নিপ্ৰবেশ করেন, “আমি বিষ্ণুকে পতিরূপে পাইবার জন্য তপস্যা করিতেছি, তুই আমার উপর অত্যাচার করিলি, তোর মৃত্যুর জন্য আমি পুনৰ্ব্বার জন্মগ্রহণ করিব।” এই বেদবতীই সীতারূপে রামরূপী বিষ্ণুর পত্নী হইয়া রাবণ-বধার্থ উদ্ভূত হন। Ne Sዓ রাবণ পথিমধ্যে সুবিধা পাইয়া রম্ভ ও বরুণকন্যা পুঞ্জিকাস্থলী অপসরাদ্বয়ের ধর্ষণ করেন ; তজন্য নলকুবর ও ব্ৰহ্মা তাঁহাকে শাপ দেন ; সেই শাপভায়ে রমণীর প্রতি বলপ্ৰকাশ রক্ষেীরাজকে ছাড়িতে হয়। এই হেতু রাবণ সীতার প্রতি বলপ্ৰকাশ করিতে সাহস করেন নাই । व्या ७७ রাবণ দেব দানব ও ঋষিগণের স্ত্রী হরণ করিয়া লঙ্কায় আনিয়াছিলেন । ऐळे २8 রাজর্ষি ব্ৰাহ্মণ দৈত্য গন্ধৰ্ব ও রাক্ষসের কন্যা সকল রাবণের শ্ৰী সৌন্দৰ্য্যের একান্ত পক্ষপাতিনী হইয়া স্মরাবেশে স্বয়ংই তাহার নিকট উপস্থিত হইয়াছিল। তাহারা দশগ্ৰীবের প্ৰতি একান্ত অনুরক্ত । 夜s দিগ্বিজয়ে বহির্গত হইয়া রাবণ মরুত্ত রাজাকে জয় করেন। No >ы মান্ধাতার সহিত যুদ্ধ করিয়া তাহার সহিত সখ্য স্থাপন করেন। ইক্ষ্মাকুবংশীয় অনরণ্য রাজাকে যুদ্ধে নিহত করেন। উ প্ৰা ৩ মৃত্যুকালে অনরণ্য তঁহকে শাপ দিয়া যান, “আমার বংশীয় কেহ তোকে বধ করিবে।” এই শাপবশে রামের হস্তে রাবণের মৃত্যু । N3 סל রাবণ পৃথিবীর রাজাদিগকে জয় করিয়া বেড়াইতেছিলেন, নারদ তাহাকে পরামর্শ দেনক্ষুদ্র মানবজাতি, ইহাদের মারিয়া ফল কি ? ইহারা ত মৃত্যুর অধীন ; মৃত্যুর নিয়ন্তা যমরাজকে দমন করিতে পারিলে শৌর্য্যের অনুরূপ কাৰ্য্য করা হয়। ॐ २० রাক্ষসরাজ যমপুরে গিয়া:যে সকল প্ৰাণী দণ্ডিত হইতেছিল, তাহদের মুক্ত করিয়া GWar 每 >>