পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

각 하여 | k বালী ইহাকে কিষ্কিন্ধ্যা হইতে নিষ্কাশিত করিয়াই ক্ষান্ত হন নাই ; এমন তাড়া লাগাইয়াছিলেন যে, ভয়ে সুগ্ৰীবকে সমস্ত পৃথিবী ছুটিয়া বেড়াইতে হইয়াছিল। ইহাতে এক উপকার হয় এই যে আদ্যোপান্ত ভু-বৃত্তান্ত ইনি জানিতে পারিয়াছিলেন এবং সেই জ্ঞান-অনুসারে অনুচর বানরগণকে পৃথিবীর চতুর্দিকে সূক্ষ্মরূপ বিবরণ জানাইয়া সীতান্বেষণার্থ পাঠাইতে পারিয়াছিলেন । কি ৪৬ মহাপ্ৰস্থানকালে ইনি রামের অনুগমন করিয়া সূৰ্য্যমণ্ডলে প্ৰবেশ করেন । উ ১১০ অঙ্গদা—বালীর পুত্র। বালীর মৃত্যুর পর সুগ্ৰীব কিষ্কিন্ধ্যার রাজা হইয়া রামের অনুরোধে ইহাকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করেন। दि. २७ ইনি হনুমানের সহিত দক্ষিণদিকে সীতান্বেষণে গিয়াছিলেন। সমুদ্র-লঙ্ঘনের কথা উঠিলে ইনি বলেন, “আমি শতযোজন লম্বেন্ধ পার হইতে পারি, কিন্তু ফিরিবার বেলা সন্দেহ ।” f>وره ؟ কুম্ভকর্ণের ভয়ে বানরসৈন্য পলাইতেছে দেখিয়া বালিপুত্র সাহস দিয়া কহিলেন, “পলাইও না ; হয় আমরা অল্প আয়ুঃবশতঃ রণে ধরাশায়ী হইব এবং এরূপ মৃত্যুতে কাপুরুষগণের দুর্লভ ব্ৰহ্মলোকে গমন করিব, বীরজনের সমস্ত ভোগ্য ভোগ করিব, নয়। ত রণে নিহত হইয়া চিরস্থায়িনী কীৰ্ত্তি লাভ করিব।” والوا أعة রামের মহাপ্ৰস্থানকালে সুগ্ৰীব ইহাকে রাজ্য দিয়া সখার অনুগমন করেন। উ ১০৮ হনুমান-কেশরী বানরের ক্ষেত্ৰজ ও বায়ুর ঔরস পুত্র। ( “পবন৷” দেখ) व् ७० কেশরীর পত্নী অঞ্জনা বানৱী ফলাহরণার্থ গমন করিয়া গহন বনে হনুমানকে প্রসব করিয়া প্ৰস্থান করে ; সদ্যঃপ্রসুত শিশু ক্ষুধায় কাতর হইয়া ক্ৰন্দন করিতে লাগিল ; ঐ সময়ে দিবাকর উদিত হইলেন ; হনুমান তঁাহাকে ফল মনে করিয়া ভক্ষণার্থ লম্বন্ধ প্ৰদান করিল ; সুৰ্য্যের যখন সন্নিহিত, তখন রাহু সুৰ্য্যকে গ্ৰাস করিতে আসিয়াছিল ; রাহুকে দেখিয়া হনুমান বৃহত্তর ফল বোধে তঁহার প্রতি ধাবমান হইল ; রাহু প্ৰাণভয়ে ইন্দ্রের শরণাগত হইলেন ; ইন্দ্র ঐরাবতে চড়িয়া সাহায্যাৰ্থ আসিতে লাগিলেন। হনুমান ঐরাবতাকে আরও বৃহত্তর ফল মনে করিয়া উহার অভিমুখে অগ্রসর হইল। ইন্দ্র ক্রুদ্ধ হইয়া হনুমানের প্রতি বজ প্ৰহার করিলেন ; বজ-তাড়িত হইয়া কপি-শিশু এক পৰ্ব্বতপৃষ্ঠে পতিত হইল, পড়িয়া শিশুর বাম হনুটি ভাঙ্গিয়া গেল। বায়ু কাতর শিশু পুত্ৰ লইয়া এক গুহা মধ্যে প্ৰবেশ করিলেন, তাহার কায্য বন্ধ হইয়া গেল, ত্ৰিলোকে হাহাকার উঠিল । ऊं ७c তখন দেবতারা আসিয়া সকলে হনুমানকে এক এক বর দিয়া তাহাকে দেব-অস্ত্রেরও অবধ্য করিয়া অমর করিয়া দিলেন। বনে ঋষিদিগের উপর উৎপাত করিতেন। বলিয়া ঋষিগণ শাপ দিয়াছিলেন, সেই জন্য হনুমান স্বয়ংও আপন শক্তির সীমা জানিতেন না, কেহ স্মরণ করাইয়া দিলে তবে বল বন্ধিত হইত। - উ ৩৬