পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন। ১৩০, ১] বৈজ্ঞানিক পরিভাষা । S \O সুন্দর সংস্কৃত পারিভাষিক শব্দ বৰ্ত্তমান থাকিতেও কোন কোন স্থলে বাঙ্গালায় নুতন শব্দ সৃষ্ট হইয়াছে। এখনও সেগুলি পরিত্যাগ করিয়া প্ৰাচীনকে গ্রহণের সময় যায় নাই । ইংরাজিতে কতকগুলি পারিভাষিক শব্দ আছে, সেগুলি ভ্ৰাস্তিজনক অর্থ সুচনা করে । অথচ সে গুলি বহুকাল ধরিয়া প্ৰচলিত থাকায় এক্ষণে ভাষার সহিত গ্রথিত হইয়া গিয়াছে । সম্প্রতি উহাদের চিরনির্বাসনবিধান দুরূহ হইয়া পড়িয়াছে। অথচ সেই সকল শব্দ এতই ভ্রমপুর্ণ ভাব আনিয়া ফেলে যে নূতন শিক্ষার্থীর বিষম অসুবিধা হয়। এখন শিক্ষার্থীর জন্য র্যাহারা গ্ৰন্থ লেখেন, তঁাহাদিগকে সেই শব্দ গুলিকে লইয়া কিছু বিব্রত হইয়া পড়িতে হয়। স্বতন্ত্র করিয়া টিপ্পানী করিয়া বুঝাইতে হয় যে, এই এই শব্দে যেন এই এই অর্থ বুঝিও না । বাঙ্গালায় সেই সেই শব্দের ঠিক শব্দগত অনুবাদ করিলে, আমাদেরও সেই বিপদের সম্ভাবনা । সুতরাং নুতন অনুবাদের সময় এই দিকে আমাদের বিশেষ দৃষ্টি রাখা আবশ্যক। দুঃখের বিষয়, ইহার মধ্যেই এইরূপ অনেক গুলি শব্দ বাঙ্গালা বিজ্ঞানগ্রন্থে স্থান পাইয়াছে। অনুবাদকগণ ভবিষ্যৎ বিপদের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখেন নাই। নিয়ে এ বিষয়ের কয়েকটি উদাহরণ দিতেছি । ইংরাজি Oxygen শব্দের যৌগিক ধাতুগত অর্থ অম্নোৎপাদক । উহার বাঙ্গালায় আমজান বা আমজনক ‘এইরূপ একটা শব্দ গৃহীত হইয়াছে। Oxygen শব্দের যখন সৃষ্টি হয়, তখন পণ্ডিতদিগের ধারণা ছিল, অম পদার্থ মাত্রেই ঐ বায়ু বৰ্ত্তমান, অর্থাৎ ঐ বায়ুর বিদ্যমানতাই পদার্থের অমতার কারণ। কিন্তু পরে জানা গিয়াছে, এমন তীব্র আম পদার্থ বিদ্যমান আছে, যাহাতে Oxygen একবারেই নাই ; এমন কি, পদার্থের অন্নতার অপর কারণ বৰ্ত্তমান আছে । পদার্থ বিশেষের অস্তিত্ব অমিতার কারণ নহে। এই কারণে এক্ষণে। Oxygen শব্দকে যৌগিক শব্দ রূপে গ্ৰহণ না করিয়া রূঢ় ভাবে গ্ৰহণ করিতে হয়। পঙ্কজ যেমন পঙ্কজাত পদার্থ মাত্রকে না বুঝাইয়া কেবল পদ্মকেই বুঝায়, সেইরূপ Oxygen অন্নজনক পদার্থ না বুঝাইয়া এমন কোন নির্দিষ্ট পদার্থকে বুঝায়, যাহার সহিত অমতার বিশেষ কোন সম্বন্ধ না থাকিতেও পারে । Oxygen এর BBBDBDD BDDDD BB DDBD DBBB D L BD DDBD DDDSDBDS BBD SS BBBBS যখন চলিয়া গিয়াছে, তখন আর উহাকে ত্যাগ না করাই ভাল। তবে অনুবাদের প্রথম প্রচলনের সময়ে এই আপত্তি টুকুর উপর দৃষ্টি রাখিলে ভাল হইত । ইংরাজি পদার্থবিদ্যায় এমন আরও কতকগুলি শব্দ প্রচলিত হইয়াছে, যাহা আধুনিক বৈজ্ঞানিকগণ বিষন্নয়নে দেখেন। এই শব্দগুলির অস্তিত্বে র্তাহাদের গাত্ৰাদাহ উপস্থিত হয়। এগুলি ভাষা হইতে কোনরূপে উঠাইয়া দিতে পারিলে তঁহাদের শান্তিলাভ & ertzgeract specific heat, latent heat, centrifugal force (22fO C375 উল্লেখ করা যাইতে পারে। দুৰ্ভাগ্য ক্ৰমে বাঙ্গালার বৈজ্ঞানিক গ্ৰন্থকারগণ উহাদের স্থলে আপেক্ষিক তাপ,গুঢ় তাপ, কেন্দ্রাপিসরণ অথবা কেন্দ্ৰবিমুখ বল প্রভৃতি শব্দ চালাইয়াছেন।