পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (বিংশ ভাগ).pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন ১৩২• }} | প্রাচীন পদাবলী ও পদকর্তৃগণ S মহাশয় চণ্ডীদাসের ‘শ্ৰীকৃষ্ণ কীৰ্ত্তন” নামক অতি প্রাচীন হস্তলিখিত পুথির পরিচয়의 পুথির বিভিন্ন অধ্যায় হইতে ১৮টি পদ উদ্ধত করিয়া উপসংহারে লিখিয়াছেন যে, “কৃষ্ণ কীৰ্ত্তন কাব্যের ভাষা বিচিত্র ; উহাতে মৈথিলি-প্রভাব সমধিক প্ৰবল। এরূপ প্ৰাকৃতশব্দ-বহুল বাঙ্গালা পুস্তক আর আছে কি না, আমাদের জানা নাই। gggBD DStuSYSKKBBD0SB S BBBD DDDSS S SBBDD BDD DDDGLBB এই মন্তব্য সম্পূর্ণ অনুমোদন করি। কিন্তু শ্ৰীকৃষ্ণকীৰ্ত্তন- গ্রন্থের ভাষা বিচিত্র, প্ৰাকৃতDBSBBS DgBBSKBDSBBg SLS S SBDBDBSDBDBDDDBS SS SDBDBDS S rDD S DDD যে বাঙ্গালা ব্যতীত আর কিছু নহে, তাহার অকাট্য প্রমাণ এই যে, ঐ গ্রন্থের কারকবিভক্তি ও ক্রিয়া-বিভক্তির সহিত আধুনিক বাঙ্গাল কারক ও ক্রিয়াবিভক্তির যথেষ্ট পার্থক্য থাকিলেও তাঁহা মৈথিলি কি হিন্দী ভাষার অন্যরূপ নহে। ষষ্ঠীসূচক ‘এর” বিভক্তির পরিবর্তে তাহাতে কু এাপি মৈথিল “ক’ কিংবা হিন্দী “ক” ব্যবহৃত হয় নাই। যদি ও “শ্ৰীকৃষ্ণ কীৰ্ত্তনে”র-“লক্ষ ক বুলিল দেবগণে”, “মায়ক বুলিল আইহনে” ( অর্থাৎ আয়ানে ), “হাটেক না জাইব৷”, “চিরদিন মথুরাক না জাহাল”, “তাক উপেখহ”, “তোহ্মাক লিখি আঁ কাহ্ন, মদন রূপ” ইত্যাদি বাক্যে দ্বিতীয়-সূচক ‘কে’ বিভক্তিয় পরিবর্তে যদিও ব্রজবুলির ন্যায় “ক” বিভক্তি র ব্যবহার দেখা যায়, কিন্তু তাহা বজবুলির নিজস্ব নহে। পাবনা জেলায় এখন পৰ্য্যন্ত দ্বিতীয়ার ‘কে’ বিভক্তির পরিবর্তে ‘কু’, কথিত ভাষায়, এমন কি, অল্পশিক্ষিত লোকের লিখিত ভাষায় পৰ্য্যন্ত ব্যবহৃত হইয়া থাকে। যথা,-“সে আমাকে বলিল” স্থলে “সে আমাক বলিল”, “আমাদিগকে দাও” স্থলে “আমাদেক দেও” ইত্যাদি । আধুনিক “হইনু),” ” যাইনু” প্রভৃতি শব্দের পরিবর্তে বাঙ্গালা প্রাচীন পদাবলিতে প্ৰায় সৰ্ব্বত্রই "হইলু!” “যাইলুং” প্রভৃতি রূপ দৃষ্ট হয় । চণ্ডীদাসের শ্ৰীকৃষ্ণকীৰ্ত্তনে হইল” ও “হইলু ” স্থলে ভৈল ” ও “ভৈলো” রূপ পাওয়া গিয়াছে। ইহাকে মৈথিলি-প্রভাব না। বলিয়া বাঙ্গালা ‘হঁইল’ ও ‘হইনু’ শব্দের পুরাতন রূপ বলাই সঙ্গতি ৷. কারণ, আমাদিগকে স্মরণ রাখতে হইবে যে, প্ৰাচীন বাঙ্গালা ভাষা প্রাচীন মৈথিল ভাষা হইতে উৎপন্ন হয় নাই । অপভ্রংশ ভাষার উৎপত্তির স্বাভাবিক নিয়মানুসারেই বিভিন্ন প্রদেশে প্রায় সমকালেই প্ৰাকৃত ভাষা হইতে হিন্দী, মৈথিলি, বাঙ্গালা প্ৰভৃতি প্রাদেশিক ভাষার উৎপত্তি হইয়াছে। সুতরাং ঐ সকল ভাষার মধ্যে শব্দ কিংবা বিভক্তি-গত সাদৃশ্য দেখিতে পাইলে তাহাকে অনুকরণ ०िभ्रां भcन न ब१ि१i डांव-डtखन নিয়ম (Phonetio Law) অনুসারে তাহার উৎপত্তির কারণ নিরূপণ করার c5छे कब्राश् সঙ্গত । সে যাহা হউক, ষষ্ঠীসুচক ‘এর” বিভক্তির স্থলে “ক” বিভক্তির ও “বাজায়াত” শব্দের পৃষ্ঠায় ক্রিয়া-বিভক্তির দৃষ্টান্ত আমরা চণ্ডীদাসে ৭ পদাবলি কিংবা “শ্ৰীকৃষ্ণকীৰ্ত্তন” গ্রন্থে কুত্ৰাপি প্রাপ্ত হই নাই ; অতএব ৩৩ সংখ্যক পদটিকে আমরা কোনমতেই অকৃত্রিম বলিয়া মনে করিতে পারি না । \