পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ষট্‌বিংশ ভাগ).pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नन >७२७ ] শ্ৰীকৃষ্ণকীর্তনে সংশয় SO হয়। এইটুকু বুঝিলাম। কিন্তু বুঝি না, প্রাচীনের মধ্যে নবীনের বা “অপেক্ষাকৃত আধুনিকে’র প্রবেশ। বুঝি, নলীন রূতির মধ্যে পুরাতন থাকিতে পারে, কিন্তু বিপরীত অবস্থা কল্পনাতেও আসিতেছে না । (২) পুণীর “কয়েক স্থলে স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণের আকার ਜ |” বুলি না, এই কয়েক স্থলের প্রাচীনত্বেব কাল নিৰ্ণয় দ্বারা কেমনু করিয়া সব লেখা, পুখীখানাই, প্ৰাচীন বলি। (৩) বুঝিতেছি, পুণীর কতক পাতা পুরাতন, কতক নুতন। যদিও এ কথা না পুণীর আবিষ্কারক, না লিপিবিচারক, দুষ্ট জনের একজনও স্পষ্ট লেখেন নাই। সে যাহা হউক, পুরাতন পাতায় পুরাতন, নূতন পাতায় নুতন অক্ষর দেখিলে ংশয় লঘু হইত। কিন্তু লিপি-বিচারক বলিয়াছেন, “প্রাচীন পত্রগুলিতে যে বর্ণমালা ব্যবস্তু হইয়াছে, তাঙ্গার অধিকাংশ স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণের আকার আধুনিক।” ” এই ‘ব্যতিক্রমে সংশয় ঘনীভূত হইয়াছে। (৪) পুৰ্গী বা অক্ষরের ছাদ দেখিয়া বুঝি, লিপিকর লিপিকলায় দক্ষ ছিল ; হয় ত লিপি করা তাঁহার ব্যবসায় ছিল । তিনি লিপিকারের মধ্যে এক জনেব। অনুকরণ-বৃত্তিও ধরা পড়িয়াছে। কে জানে, অন্য দুই লিপিকর নবীন হইয়াও প্ৰাচীন রীতি বক্ষণ করে নাই । (৫) প্ৰত্নলিপিবিৎ মাত্র তিনখানি গ্রন্থের অক্ষরের সহিত বিচাৰ্য পুখীর তুলনা করিয়াছেন। পরে লিখিয়াছেন, “ “কৃষ্ণকীৰ্ত্তনে'র প্রাচীন অক্ষরের তিনচতুর্থাংশেব অধিক প্ৰমাণ-গ্ৰন্থত্ৰত্নে ব্যবহৃত হয় নাই।” না হউক ; জিজ্ঞালে, এই “হয় নাই” হইতে “হইয়াছে।” সিদ্ধ হইতে পারে কি ? ৯। রাখাল বাবু ক্ষমা করিলেন, তঁাহাব যুক্তি-জাল আমার বুদ্ধির অভেদ্য হইয়াছে। র্তাহার কৃত সংজ্ঞা ‘প্রত্ন-লিপি-তত্ত্ব’ আমার বুদ্ধিকে অভিভূত করিয়াছে। কারণ, দৰ্শনশাস্ত্রের সায়, “তত্ত্ব” । প্রত্ন-লিপি-বৃত্তান্ত বি-জ্ঞা-ন পদবীতেও পড়ে না, যদিও ইংরেজী palaeography শব্দে, প্রত্ন-লিপি-বিজ্ঞান, এইরূপ বলা হইয়া থাকে । বিজ্ঞানে জানা হইতে অ-জানায় যাইতে পারা যায়, ইতিহাস ও বৃত্তান্তে জানা ছাড়িয়া এক পদ অগ্রসরের পথ নাই। রাখাল বাবু যে সকল যুক্তি দিয়াছেন, সে সকল ইতিহাসের কথা । যথা, অমুক সময়ে অমুকু দেশে অমুক ‘অক্ষর প্রচলিত ছিল। দদি ও তিনি এরূপ প্রমাণও দিতে পারেন নাই। তঁহার প্রদত্ত প্ৰমাণ, অমুক সময়ে, সুমুক স্থানে, অমুক শিলায়, অমুক তামশাসনে, কিংবা অমুক পুপীতে, এইরূপ অক্ষর আছে । এইরূপ প্রমাণে কত বাধা পড়িল, তাহা বলিতে হইবে না। বস্তুতঃ তাহার উপজীব্য অতি -অল্প। একে, অন্বয় দ্বারা ব্যাপ্য-ব্যাপকজ্ঞান নিঃসংশয় হয় না, তার উপর অন্বয়ের উপজীব্য ও অন্ন। ভূ-স্তরের ন্যায় অক্ষরের আকারের পূর্বাপর স্তর পাওয়া যায় কি না, জানি না। কিন্তু বলিতে পারি, বহু কাল গাত ना श्रेष्ठ, কিংবা বিপ্লব না ঘটলে আকার-পরিবর্তন লক্ষ্য হইবে না। काझ०, cश२) इखेिम অনুকরণ ; •একটা কলা-যাহার উৎপত্তি অজ্ঞাত, আদর্শ অজ্ঞেয়, পরিণাম মানব-মনের ও মানব-কৰ্ম্ম-ক্ষেত্রের দুর্ভেদ্য রহস্তে প্ৰচ্ছন্ন। স্কুলত; লিপি-কলা একটা কৃত্ৰিম কলা। ইহার পরিণুমক্ৰম আবিষ্কৃত হইতে পারে, কিন্তু তাহা দ্বারা বৎসর গণিতে পারা যাইবে না।