• সাহিত্যসার । কালের যে দুই একখানি গ্রন্থ পাওয়া যায়, তৎসমুদয়ষ্ট পদ্যে রচিত। গদ্যরচনা না দেখিতে পাইলে কোন ভাষারই বিশেষ তত্ত্ব অৰগত হওয়া যায় না। কারণ গদ্যরচনায় ভাষার প্রকৃতি যেরূপ বিবৃত হয়, পদ্যরচনায় তাহ হয় না। পদ্যরচনা সম্পূর্ণরূপে ভাষাবিষয়ক নিয়মসমূহের অনুসরণ করে না, বরং অনেক স্থলেই উছার ব্যতিক্রম দেখিতে পাওয়া যায়। এই জন্যই আদ্যকালের বাঙ্গলার প্রকৃতি বিশেষরূপে অবগত হইবার উপায় নাই । কারণ তৎকালীন যে কয়খানি গ্রন্থ আমাদের হস্তগত হইয়াছে, সমুদয়ই পদ্যে রচিত । কেহ কেহ অকুমান করেন ষে, বাঙ্গলাভাষায় পুরুষপরীক্ষা নামে যে গ্ৰন্থখানি প্রচলিত অাছে, উহা বাঙ্গলার আদি কবি বিদ্যাপতির রচনা। কিন্তু পুরুষপরীক্ষার ভাষা দেখিলে কখনই গুরূপ অকুমান হইতে পারে না। পরন্তু আমরা বিশেষ অনুসন্ধানপূৰ্ব্বক অবগত হষ্টয়াছি যে, বিদ্যাপতি সংস্কৃতভাষায় পুরুষপরীক্ষা নামে একখানি গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন, এখনকার প্রচলিত বাঙ্গল পুরুষপরীক্ষা ঐ সংস্কৃত গ্রন্থেরই অনুবাদ । বাঙ্গল পুরুষপরীক্ষা ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের অধ্যক্ষগণের নিয়োগাকুসারে হরপ্রসাদ রায় নামক কোন ব্যক্তিকর্তৃক প্রণীত হইয়া ১৮১৫ খৃষ্টাবে প্রচারিত হয় ।* এতাবত সপ্রমাণ হইতেছে যে, আদিমকালে বাঙ্গলাগদ্যে বোধ হয় কোন গ্ৰন্থই রচিত হয় নাই । ভৎকালের লোকে বাঙ্গলা গদ্যে কথাবার্তা কহিত এই মাত্র। • কলিকাতা রিভিউ ১৩ ভলম. ১৮৯ পৃষ্ঠা।
পাতা:সাহিত্য সার .djvu/১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।