উপক্রমণিকা । o আদিমকালের রচনার মধ্যে বিদ্যাপতি ঠাকুর ও চণ্ডীদাস এই উভয়েয় প্রণী ত কতকগুলি পদাবলী অদ্যাপি বিদ্যমান আছে । বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাস প্রায় এক সময়েই প্রাদ্বভূত হইয়াছিলেন। বাকুড়া বীরভূম প্রভৃতি অঞ্চলের মধ্যে কোন স্তানে ইহঁদের জন্ম হয়। চৈতন্যদেবের প্রায় এক শত বৎসর পূৰ্ব্বে ইহঁারা বর্তমান ছিলেন । আদিমকালের ভাষা কিরূপ ছিল তাহ অনুমান করা সহজ নহে, ইহা পূৰ্ব্বেষ্ট কথিত হইয়াছে । তবে বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাসের রচনাদৃষ্টে এই পর্য্যস্ত বোধ হয় মে, তৎকালীন বাঙ্গলা অধনাতন বাঙ্গল হইতে অনেকাংশে বিভিন্ন ছিল। তৎকালে এথন অপেক্ষা অনেক অধিক পরিমাণে হিন্দীশব্দ ভাষার অন্তভূত ছিল । সে সময়ে বাঙ্গলার ব্যাকরণ না থাকাতে রচনার পরিপাটী ছিল না, পয়ার ও ত্রিপদী ভিন্ন অন্য কোন ছন্দই তৎকালে কর্তমান ছিল না, এ সকল মধ্য ও ষ্টদানীন্তনকালের স্বষ্টি। ফলতঃ অধুনাতন ভাষা হইতে তদানীন্তন ভাষার যে কত প্রভেদ ছিল তাহার ইয়ত্ত করা যার না । নিয়ে অাদিকালিক রচনার একটা উদাহরণ প্রদত্ত হইতেছে। “ সখি কি পুচ্ছসি অনুভব মোর । সোই পিরীতি অনুরাগ বখানিতে তিলে তিলে নূতন হোর ॥ জনম আৰধি হাম রূপ নেহারিকু নৃয়ন না তিরপিত ভেল ।
পাতা:সাহিত্য সার .djvu/১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।