এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
সিতিমা।
















আরতি হবে, পুরোহিত ঠাকুরকে ডাকিয়েছি। তাঁকে দেখ্ছি নৌকায় করে পাঠিয়ে দিতে হবে। |
পুষ্পিতা। | আমিও যাই, একটু চন্দন মাখিগে, বড় গরম। |
[প্রস্থান।]
বাগানের প্রাচীর লঙ্ঘন পূর্ব্বক যোদ্ধৃ বেশে সসজ্জ উজ্জ্বল সিংহের প্রবেশ। চকিতে সিতিমার বৃক্ষান্তরালে গমন।
উজ্জ্বল। | [ চারিদিক নিরীক্ষণ করিয়া স্বগত ] সিতিমার কণ্ঠে যেন চন্দ্রার আহবান শুন্লাম। কৈ কেউতো কোথাও নাই। চন্দ্রা ডেকেছে, চিঠি পেয়েও আসি কি না আসি বলে ইতস্তত: কচ্চিলাম। প্রাচীর পর্য্যন্ত এসে ফিরে গেলাম-মনে হ’ল সন্ধ্যাকালে রাজন্তঃপুরেবিশেষ মহারাজ যখন উপস্থিত নাই, তখন প্রবেশ করা ঠিক নহে-ফিরে গেলাম; কিন্তু শেষ ছত্র বারবার কাণে বাজ্তে লাগল, তাই আসতেই হলো। এই তো। চিঠি, তার নিজের হস্তাক্ষর-“এসো, একবার এসো”
(চন্দ্রার প্রবেশ।)
এই যে চন্দ্রা আমি এসেছি। |
চন্দ্রা। | এসেছ? এত বিলম্ব কেন? আমি কখন থেকে প্রতীক্ষা। করে আছি। ছি! এই তোমার ভালবাসা! |
উজ্জ্বল। | চন্দ্রা আমি সেনাদল নিয়ে যুদ্ধে যাচ্ছি, পথে যেতে যেতে তোমার আহবান পেলাম। পথে সকলকে দাঁড় করিয়ে বল্লাম-তোমরা একটু অগ্রসর হয়ে আমার জন্য অপেক্ষা কর, আমি রাজলক্ষ্মীকে প্রণাম করে আসতে ভুলে গিয়েছিলাম, শীব্র গিয়ে প্রণাম করে আস্চি।— আমার সময় নাই, কেন ডেকেছ বল। |