এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সিতিমা
১৩
চন্দ্রা। [অভিমান ভরে] যদি অসময়ে ডেকে থাকি, যাও।
উজ্জ্বল। কেন অভিমান প্রিয়ে? তুমি তো জান আমি তোমার আজ্ঞাধীন, মহারাজের আজ্ঞার উপর তোমার আজ্ঞা শিরোধার্য্য করে আজ যুদ্ধযাত্রার পথ থেকে ফিরে এসেছি।
চন্দ্রা। বড় অন্যায় করেছি। কুমার, ক্ষমা কর, ফিরে যাও।
উজ্জ্বল। চন্দ্রা, আমি দ্বিতীয় সেনাপতি-মহারাজের বিশ্বাসী বন্ধু ও ভৃত্য-আমি নিজে রাজপুত্র-ক্ষত্রিয়। আমাকে যদি চিনে থাক, বুঝবে কতখানি ভালবাসা আমায় এমন কাজে প্রবৃত্ত করেছে। চন্দ্রা, প্রাচীরের বাইরে দাঁড়িয়ে আমি সিতিমার কণ্ঠে তোমারি ডাক শুন্‌লাম। চন্দ্রা, তোমার ডাক মৃত্যুর ডাকের চেয়েও অলঙ্ঘ্য হয়ে এল, তাই আমি এসেছি। কিন্তু দাঁড়াবার সময় নাই, একবার বল কেন ডাক্‌লে।
চন্দ্রা। [ অভিমান ভরে ] সাধ করে মৃত্যুর ডাক কে শোনে? তুমি ফিরে যাও, কুমার।
[ পশ্চাৎ ফিরিয়া অশ্রুমোচন ]
উজ্জ্বল। [ কাতর স্বরে ] চন্দ্রা কেন এমন বিমুখ হলে? একি কি আমি কি দোষ করেছি বুঝিয়ে দাও। না হয় তাও থাক্‌-আমাকে কি কর্‌তে হবে সেইটে বল। এমন করে লাঞ্ছিত ক’র না।
চন্দ্রা। রাজপুত্র, আমি কে? সামান্য নটী। যুদ্ধে জয়ী হলে মহারাজ তোমাকে পুরস্কৃত কর্‌বেন।
উজ্জ্বল। দেবতার কাছে প্রার্থনা কর যেন জয়ী হই। এখন হাসিমুখে বিদায় দাও, আমি যাই।