এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সিতিমা
১৭
উজ্জ্বল। [ ক্রুদ্ধ ঘরে ] সিতিমা, বাধা দিও না।

অস্তঃপুর পার হইয়া চত্বরে প্রবেশ করিতে না করিতে দুই দিক হইতে
চারজন অস্ত্রধাবীর ক্ষিপ্র প্রবেশ ও অতর্কিতে উজ্জ্বলের
তরবারী ছিনিয়া লইয়া হস্তদ্বয় বন্ধন।
দুই রক্ষীর প্রবেশ।

১ম দ্বাররক্ষী। [ সম্মুখে আসিয়া ] অসময়ে গোপনে মহারাণীর মহলে ঢুকেছেন বলে আমরা আপনাকে ধরেছি।
উজ্জ্বল। কে তোমরা?
২য় দ্বাররক্ষী। আমরা অন্দর মহলে পাহারা দিই।
উজ্জ্বল। আর এরা?
সিতিমা। সেনাপতির প্রেরিত গুপ্তচর।
১ম অংস্ত্রধারী। গুপ্তচর নই, পলাতকের সন্ধানে প্রেরিত সৈনিক-পুরুষ।
সিতিমা। সারাদিন ধরে ছদ্মবেশে তোমরা এই পুরীতে লুকিয়েছিলে; পলাতক তোমরা না কুমার?
১ম দ্বাররক্ষী। বাইজী, আমাদের তো মাথা কাটা যাবে।
সিতিমা। তোমরা কি আমাকে জান না? আমার গানের খ্যাতি শোননি?
২য় দ্বার রক্ষী। বাইজী গান গেয়ে পাথর গলাতে পারেন, তা আমরা জানি, মানুষতো মানুষ।
সিতিমা। কুমার আমার গীতের আহবান অগ্রাহ্য করতে পারেন নি— এসব সত্যি কথা ভাই-ফাঁকি নয়। কুমারের কোন দোষ নাই।