এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
'সিতিমা।
৩১
















প্রহরী। | তুমি জানবে, আমি জানব, এই বুড়ো ঠাকুরটি জানবে, আর বাকী থাকবে কে? যখন জঙ্গলের ভেতর কি অন্ধকার ঘরে একটা মানুষ আর একটাকে খুন করে, তথন জানে কে?—তারা দুইজন। তারাই সে কথা লুকোতে পারে না, আপনারা বের করে দেয়। ঠাকুর, এ রাজার রাজ্যি! সোজা কথা? |
তরুণ স। | তা কি বলব ভাই, মন্ত্রের গুণে সব করা যায়, মুখবন্ধ, চোখ বন্ধ হয়, লোহাকে সোনা, সোনাকে লোহা করা যায়, মানুষকে গাধা ভেড়া যা খুসী করা যায়। |
প্রহরী। | মানুষকে গাধা করা কিছু বাহাদুরী না; তবে লোহাকে সোনা করতে পারলে একটা কাজ হোত, তোমাদের বিদ্যেও বোঝা যেত। |
তরুণ স। | এ লোকটা নিরেট মুর্খ। চল ঠাকুর আমরা যাই। মন্ত্র শক্তি বুঝবে ওর মত লোক? |
প্রহরী। | আচ্ছা। ঠাকুর। আমাকে মস্তর শিখিয়ে দাও, যাতে আমি লোহা সোনা করতে পারি, তখন যা বল কর্ব। |
তরুণ স। | শিখ্বে মন্তর? |
প্রহরী। | শিখব। |
তরুণ স। | কিন্তু মন্তর নিতে হলে আগে কণ্ঠ শুদ্ধ করা চাই। |
প্রহরী। | সে কি ঠাকুর? |
তরুণ স। | যে মুখ দিয়ে মন্ত্র উচ্চারণ করবে সে মুখটা আর গলাটা একটা ঔষধ-—একটা শুদ্ধ জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হয়, তবেই দিয়ে বেরোয়, নইলে অত সংস্কৃত বাক্য তুমি বলতে পারবে না। |