এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সিতিমা।
৩৩
















প্রহরী। | আচ্ছা আমায় ঐ মন্তর শিখিয়ে দাও ঠাকুর। |
তরুণ স। | আগে এটা দিয়ে কণ্ঠশুদ্ধি কর।
[ প্রহরী কর্তৃক ঔষধ গ্রহণ ও সেবন। ] |
প্রহরী। | বেশত মিষ্টি! ও ঠাকুর আমার গা। কেমন কচ্চে যে। হাত পা যেন এলিয়ে আস্চে ঘুম পাচ্চে-এ |
তরুণ স। | ঐ রকম তো হবেই-তোমার ধ্যানের অবস্থা আসচে ভাই, এর পর দিব্যদৃষ্টি আস্বে। |
প্রহরী। | তা দিব্যি দেখ্ছি-সোণার গোটছড়া-একটু শুই। আরে আমার কোমর থেকে গোট ছড়া নিচ্চ নাকি? |
তরুণ স। | না না-সোণার গোট পরাচ্চি। ভাই, তুমি আরাম করে একটু ঘুমোও। |
প্রহরী। | আচ্ছা ঠাকুর [ প্রহরীর শয়ন ও সন্ন্যাসী কর্ত্তৃক কারাগারের চাবি গ্রহণ ] |
তরুণ স। | এখন চাবিতো পাওয়া গেল, কিন্তু কোন দিকে দরজা। তাই যে জানি না। [ ছিদ্রমুখ দিয়া উচ্চকণ্ঠে ] ও ভাই বন্দী যদি উপরে উঠবার পথ জান, তাড়াতাড়ি বেরিয়ে এস। আমি দরজার চাবি পেয়েছি দরজা কোথায় বলে দাও। [ বৃদ্ধ সন্ন্যাসীর প্রতি ] কৈ কেউতো সাড়া দেয়না। চলুন ভাল করে দেখি।
[ উভয়ের প্রস্থান ও কিয়ৎক্ষণ পরে বন্দী সহ পুনঃ প্রবেশ। |
বন্দী। | আপনারা কে? |
বৃদ্ধ স। | আমরা দুটি সন্ন্যাসী |