এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮'
'সিতিমা।
















প্রহরী। | মন্তরটা তো আমাকে শেখাবে বলে কি খাওয়ালে-সেটা ভণ্ডামি নাকি?—না আমি স্বপ্নই দেখলাম। |
তরুণ স। | ভাই তোমার কোমরে ওটা কি চক্ চক্ কছে? |
প্রহরী। | এটাতো ঠিক আছে-এ আমার অনেক কালের, ঠাকুর্দ্দার কালের একটা জিনিস, রাজার কাছে বকশিষ পাওয়া। বুঝলে কিনা, আমার বাপের বাপের তারও বাপের পাওয়া [ বস্ত্রাভ্যন্তরে গোপন ] কিন্তু সন্ন্যাসী দুটো গেল কোথায়? কোথায় গেল কিছু বলতে পার? আমায় মন্তর দিয়ে গেল ন॥ |
তরুণ স। | তারা হয়তো দিয়েছে, তুমি ঘুমের ঘোরে হারিয়ে ফেলেছ। |
প্রহরী। | তাঁদের আবার পাই কোথায়? |
তরুণ স। | কোথায় উড়ে গেছে। মন্ত্রের জোরে ওরা পাখী হয়ে ওড়ে, মাছ হয়ে সাঁতার কাটে, ঘোড়া হয়ে ছোটে। |
প্রহরী। | কোথায় গিয়ে ঘুমোয় তা বলতে পার? |
তরুণ স। | না ভাই, তাতে। পারিনা। কিন্তু তুমি আমায় এখন কয়েদখানার পথ দেখিয়ে নিয়ে চল। |
গান।
অন্ধকারে পথ দেখিয়ে নিয়ে চলরে ভাই
মঠের খবর জানি, কিন্তু পথের সন্ধান নাই।
মাঠের পারে মঠের মাঝে, নিয়ে চলরে ভাই।
উচ্চ চূড়ায় নিশান উড়ে, ভিতটি নাকি পাহাড় জুড়ে
যাবার পথ নয়কো সোজা আঁকাই বাকাই।
পথ যে জানিস্ চল্রে আগে সামনে সোনার চূড়া জাগে।
জল জঙ্গল মাঠ গোবাট সব পেরিয়ে যাই।