পাতা:সিদ্ধান্তরত্ন (দ্বিতীয় খণ্ড) - উপেন্দ্রমোহন গোস্বামি.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)V) निक्राख्झङ्ग । তব সমীপে আগত এই সকল দেবতাগণ, জগৎ-স্ৰষ্টা তুমিই হও, যেহেতু আপনি সর্বগত হইয়াছেন। এবং লোকেও স্থানের ঐক্যতাতে ও মতির ঐক্যতাতে ঐক্য কহিয়া থাকে। যথা সায়ংকালে গোসকল একতা প্ৰাপ্ত হয়। ও পরস্পর বিবাদ পরিত্যাগ করতঃ রাজা সকল মতির একতা হেতু একতা প্ৰাপ্ত হয়। যোহন্যাৎ ‘দেবতামুপাসতে অর্থাৎ যে ব্যক্তি অন্য জ্ঞানে দেবতাকে উপাসনা করে, এস্থলে কৰ্ম্মজড় সকাম ভক্তের নিন্দা, নতুবা আপনা। হইতে আধিক্য জ্ঞানে স্বামি-পরমেশ্বরের ভেদজ্ঞাত নিষ্কাম ভক্তের নিন্দা নহে, এতদ্বারা ত্বং বা অহমস্মি অর্থাৎ তুমি যে সেই আমি, ইহার ব্যাখ্যাতে ব্ৰহ্মাধীন বৃত্তি হেতু জীবকে ব্ৰহ্ম বলা হইয়াছে, যদ্ররূপ প্ৰাণ-সংবাদে প্ৰাণাধীন বৃত্তিহেতু ইন্দ্ৰিয় সকলকে প্ৰাণ বলা যায়। উপাসকের কাৰ্য্য নিমিত্ত ব্ৰহ্মের রূপ-কল্পনা, এই স্থলে নির্বিশেষ ব্ৰহ্ম নহে, যেহেতু রামতাপনীর পরস্থানে আত্মমূৰ্ত্তি, ব্ৰহ্মানন্দবিগ্রহ, উক্ত থাকাতে সবিশেষ হইয়াছেন। নতুবা রামতাপনীর পূর্বাপর বিরোধ হয়। পূজাদি নিমিত্ত অস্মাদাদিনিৰ্ম্মিত রূপকে কল্পিত রূপ কহে, অতএব প্ৰাকৃত রূপ কল্পিত হয়। নিত্যসিদ্ধচিদানন্দ অপ্রাকৃত রূপ কল্পিত নহে। মোক্ষাকালেও পরমেশ্বর হইতে জীবের ভেদ-প্ৰতিপাদক শ্রুতি পূর্বে উক্ত আছে, তাহা শ্রবণ করিয়াও চিন্মাত্রৈকবাদী বধিরত অবলম্বন করত প্ৰত্যুত্থান করিতেছেন। যথা, জীবেশ্বরের অবিদ্যাকৃত ভেদ, কিন্তু সত্যভেদ নহে, যেহেতু মোক্ষাকালিক ভেদবোধক বেদবাক্য নাই। উত্তর, একথা