পাতা:সিদ্ধান্তরত্ন (দ্বিতীয় খণ্ড) - উপেন্দ্রমোহন গোস্বামি.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S. So गि१[&द्रङ्ग । কল্পনা করিবার শক্তি না থাকিলে কল্পক হইতে পারেন নাই, তাহা হইলেই ব্ৰহ্ম শক্তিবিশিষ্ট হইয়া উঠেন। মায়া ও জীব ব্রিহ্মেতে শক্তিকল্পক হইলে আত্মাশ্রয়তা দোষ হয়, { অতএব কল্পকের নিরূপণ হয় নাই। তোমার উক্ত যুক্তিতে অর্থাৎ কৰ্ত্ত ও করণ সাধনে জ্ঞানের সখণ্ডত্ব হয় না, যেহেতু যচ্চ কিঞ্চিৎ সর্বমিত্যাদি শ্রীতিতে অর্থাৎ যে কিঞ্চিৎ জগৎ সকল ব্ৰহ্মময় এতদ্বারা ব্ৰহ্মের বহিরান্তবঁ্যাপিত্ব শ্রবণ আছে ; যন্দ্রপ তিলের সর্বত্র ব্যাপি তৈল ও দধির সর্বত্র ব্যাপি স্থত তদ্রুপ । সেই শক্তি সকল বিষয়ে, ও উপাদান ও নিমিত্ত কারণে স্বরূপভুতা জানিবে। তাহা না হইলে কোন বিশেষ কাৰ্য্যের উৎপত্তি বিষয়ে তৎকারণত্ব রূপে বস্তু বিশেষ স্বীকারের আনৰ্থক্য হয় । বিবৰ্ত্তবাদেও রজতান্দি-স্ফূৰ্ত্তি বিষয়ে অন্য কোন বস্ত রাজতাদির অধিষ্ঠান না হইয়া শুক্ত্যাদিই কি জন্য অধিষ্ঠান হন, অতএব, রজতাদি জ্ঞান করাইতে শুক্ত্যাদির শক্তি আছে। অত্ৰ স্থলে ব্রহ্মের জগদধিষ্ঠানত্ব আছে, অন্যের নাই ; এতদ্বারা স্বরূপশক্তিত্ব বিদিত আছে। জিজ্ঞাসা করি, জগন্দ্ররূপ বিবৰ্ত্ত বাদে ব্ৰহ্মের কিঞ্চিৎকারত্ব আছে, কি নাই ? যদি বল, নাই, তবে অজ্ঞান দ্বারা বিবৰ্ত্ত হউক, অজ্ঞানাতিরিক্ত ব্ৰহ্মস্বীকার প্রয়োজনাভাব। যদি বল, কিঞ্চিৎকারত্ব ব্ৰহ্মের আছে, তাহা হইলে ঐ যে কিঞ্চিৎকারত্ব, তাহাই অজ্ঞানাশ্রয় শুদ্ধ ব্ৰহ্মের শক্তি। কেহ বলেন, ব্ৰহ্ম সন্নিধানে সেই সেই কাৰ্য্য হয়, এতদঙ্গীকারেও শক্তিই পৰ্য্যবসান হন । অন্য সমিধানে কাৰ্য্য না হইয়া ব্ৰহ্ম সন্নিধানে কাৰ্য্য হওয়ায় ব্রহ্মেতেই সেই