পাতা:সিদ্ধান্তরত্ন (দ্বিতীয় খণ্ড) - উপেন্দ্রমোহন গোস্বামি.pdf/৬৮

> SoS2 श्रुिङ् । এতন্মতে জীব ও ঈশ্বরের স্বরূপ বাক্যেও যেরূপ বাসুদেবাদি বুহের নারায়ণের সহিত অভেদ হইলেও পরীত্ব বুদৃহত্বাংশে বৈলক্ষণ্য আছে, তদ্রুপ জীব ও ঈশ্বরের মন্তব্য হইয়াছে। তদ্বারা কোন বেদবাক্য-বিরোধ হয় না, দ্বা সুপর্ণ ইত্যাদি শ্রীতিতে বৈলক্ষণ্য স্বীকার করিয়া অন্য পদ প্রয়োগ হইয়াছে। চিন্দ্রপত্বে জীবেশ্বরের অভেদ হইলেও পরস্পর ধৰ্ম্ম ব্যতিকর নাই, যদ্রপ ঘটত্ব কপালে নাই ও কপালত্ব ঘটে নাই, তদ্রুপ জীবত্ব ঈশ্বরে নাই, ঈশ্বরত্ব জীবে নাই, অতএব ভক্তি সিদ্ধান্তের কোন হানি নাই। বেদে যে সগুণ বাক্য আছে, তাহা স্বরূপানুবন্ধি-গুণ পর, ও নিগুণ বাক্য প্ৰান্তীতিক-মায়িকগুণ-নিষেধ-পার । যাদ্রপ হিংসা-বাক্য যজ্ঞীয়-পশুিহিংসাপর ও অহিংসা-বাক্য যজ্ঞ-ব্যাতিরিক্ত-পশুিহিংসা-নিষেধ-পর তদ্রুপ। অভেদ মত নিরাকৃত করিতেছেন। জীবের জন্মমরণ-নরকানুভব শ্রবণ হইতেছে ; সেই জীবের ঈশ্বর হইতে অভেদ হইলে তাহা উপপন্ন হয় না, এজন্য ঈশ্বর হইতে জীবের ভেদ বোধ হইতেছে। জীব যদি ব্ৰহ্ম হইতেন, তাহা হইলে কদাচিৎ দুঃখবিশিষ্ট হইতেন না । যদি বল, আমরা কেবলা দ্বৈতী, আমাদিগের মতে জড়প্রপুঞ্চ, স্বাপ্নিক রথাশ্বাদির ন্যায় মিথ্যা, সেইরূপ আমাদিগের জন্ম-জারাদি-দুঃখানুভবের বস্তুতঃ মিথ্যাত্বি স্বীকার আছে ; অতএব ঈশ্বর হইতে জীবের অভেদ হয়, সেই অভেদ খণ্ডন করিতে অশক্য । অতএব তুমি যে দোষ দিয়াছ, সেই দোষ প্ৰপঞ্চের সত্যত্ব হইলে হয়। উত্তর, জড়প্রপঞ্চের মিথ্যাত্বি হইলে প্ৰপঞ্চপ্ৰতিপাদকের যতো বা ইমানি ভুতানি জায়ন্তে ইত্যাদি