প্রতিপন্ন করিবার জন্য কত কথাই বলিয়াছিলেন। কিন্তু আমরা ইংরাজলিখিত ইতিহাসেই প্রমাণ পাইতেছি যে, ইংরাজগণ নবাবের অনুমতি না লইয়া দুর্গসংস্কারে হস্তক্ষেপ করিয়াছিলেন; রাজবল্লভ এবং ঘসেটি বেগমের সহায়তা করিবার জন্য কৃষ্ণবল্লভকে কলিকাতায় আশ্রয় দিয়াছিলেন; নবাববাহাদুরের আশ্রয়গ্রহণ করিবার জন্য বিলাত হইতে আদেশ পাইয়াও নবাবের শত্রুপক্ষের আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন; এবং ফরাসীদিগের সহিত যুদ্ধ না বাধিতেই সেই ধূয়া ধরিয়া রণসজ্জা করিতেছিলেন;—অথচ সিরাজদ্দৌলা যেমন অভিযোগ করিলেন যে, ইংরাজেরা ঘসেটি বেগমের পক্ষাবলম্বন করিতেছেন, ইংরাজ-প্রতিনিধি ফোর্থ সাহেব অমনি অবলীলাক্রমে বলিয়া উঠিলেন, “সে কি কথা” ইংরাজ ত বণিকমাত্র, তাহারা কি রাজনৈতিক কলহবিবাদে কাহারও পক্ষাবলম্বন করিতে পারে? এ সব নিশ্চয়ই কোন শত্রুপক্ষের রচা কথা।
আলিবর্দ্দীর শেষদিন নিকট হইয়া আসিল—রোগক্লিষ্ট দুর্বল দেহ অবসন্ন হইয়া পড়িল। ১৭৫৬ খৃষ্টাব্দের ৯ এপ্রিল প্রজাবৎসল শান্তস্বভাব বৃদ্ধ নবাব আলিবর্দ্দী চিরশান্তির শীতল ক্রোড়ে ঘুমাইয়া পড়িলেন।[১]
- ↑ Aliverdi Khan, the ablest of all the Nababs, is buried at Khusbagh, on the west side of the river, and opposite Motijhil. · H. Beveridge C. S,