পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সিরাজ। যান, অর্থপিশাচকে ল’য়ে যান।
মাণিকচাঁদকে লইয়া রাজবল্লভের প্রস্থান
সিরাজ। ইংরাজের স্পর্দ্ধার কথা শুনেছেন, এখন কি কর্ত্তব্য?
মীরজাঃ। জনাব, যখন রাজ্যের মঙ্গলার্থে সন্ধি স্থাপন হয়েছে, এ সময়ে সামান্য কারণে ইংরাজের সহিত বিবাদ উচিত নয়।
সিরাজ। কি, সামান্য কারণ! রাজা শরণাগতকে রক্ষা কর্‌বেন না?
মীরজাঃ। জনাব, যথাজ্ঞানে নিবেদন করেছি। আফগান আহম্মদ সাহ আবদালী দিল্লী অভিমুখে যাত্রা করেছে সত্য, এক্ষণে ইংরাজের সহিত বিবাদ শ্রবণে প্রত্যাগমন কর্‌তে পারে;—এক কালে দুই শত্রু করা যুক্তিযুক্ত নয। বোধ হয় সমস্ত অমাত্যবর্গ আমার মতের অনুমোদন কর্‌বেন।
স্বরূপ। জনাব, খাঁ সাহেবের পরামর্শ যুক্তিযুক্ত।
রায়দুঃ। অনর্থক ইংরাজের সহিত যুদ্ধ-বিগ্রহে প্রজার গুরুতর অমঙ্গল। জনাব প্রজারক্ষক, বিস্তর ক্ষতি স্বীকার ক’রে, প্রজার নিমিত্ত নিশাযুদ্ধের পর আলিনগরের সন্ধি সংস্থাপন করেছেন। সে সন্ধি ভঙ্গ এ পক্ষ হ’তে না হয়। সন্ধিভঙ্গ ইংরাজের দ্বারাই হোক, আফগান সৈন্যও দিল্লীতে প্রত্যাগমন করুক। দেখা যাক—ইংরাজের কতদূর বৃদ্ধি!
সিরাজ। আপনারা দরবার পরিত্যাগ ক’রে ক্ষণকাল কক্ষান্তরে অপেক্ষা করুন। (মুঁসালার প্রতি) মুঁসালা, যাবেন না, আপনার সঙ্গে পরামর্শ আছে।
সিরাজ, মুঁসালা ও করিম ব্যতীত সকলের প্রস্থান
মুঁসালা। (করিম চাচাকে লক্ষ্য করিয়া) জনাব, এঁর দরবারে উপস্থিত থাকা প্রয়োজন অনুমান হয়?
সিরাজ। ইনি আপনাদের বন্ধু। মুঁসালা, আপনি অতি ন্যায্য কথাই