এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় অঙ্ক
১০৭
উড়িয়ে দেবো।’ নবাবী আম্লাদের টাকা দিয়ে—থুড়ি, কতক দিয়ে কতক কব্লে হাত কর্তে নবাবকেও একটু আধটু শাসাতে।
মুঁসালা। ও ইংরেজ পারে, আমরা লোক পারি না! আপনি ঠিক রাজমন্ত্রীর যোগ্য।
করিম। ঠিক বলেছ, আমি মন্ত্রী হ’লে যেমন ক’রে পারি, আগেই নবাবকে ফের মদ ধরাতুম।
মুঁসালা। না, না, ম’শায় আপনাকে আপনি খাটো করিতেছেন, আপনা হইতে এরূপ বুরা কাজ হইত না।
করিম। সাহেব বুরা কাজ কি? তুমি বুঝ্তে পাচ্ছ না। বুড়ো আলিবর্দ্দীর আমলে মারহাট্টারা চারিদিকে ঘিরে ফেল্লে, সকলে শশব্যস্ত কি হয় কি হয়। আমাদের নবাব বাহাদুর দু’পেয়ালা মদ টেনে, ঘোড়ায় চড়ে ধাঁ ক’রে লড়াইয়ে লেগে গেলেন, মারহাট্টাগুলো পালাবার পথ পেলে না, এবারও ক্লাইব, রাত্রে আক্রমণ ক’রেছিল; জনাবকে যদি দু’ পেয়ালা মদ খাইয়ে দিতে পার্তুম, তা’হলে কি আর আলিগরের সন্ধি হয়? জনাব দু’টী চোখ লাল ক’রে হুকুম ঝাড়্তেন, ফোর্ট উইলিয়ম ওড়াও, কোলকাতাটা আস্মানে হরিশ্চন্দ্রের রাজ্যে গিয়ে উঠ্তো। নবাব মদ ছেড়ে খালি ভাবছেন এ করি কি ও করি! এই দু’নৌকোয় পা দিয়েই প্যাঁচ প’ড়েছে।
মুঁসালা। সাহেব, মদ খাইলে বিবেচনাশূন্য হইতে হয়।
করিম। এঃ, তাইতে চন্দননগর খুইয়েছ। বিবেচনা করে কবে, পৃথিবীতে কোন্ বড় কাজটা হয়েছে? তোমাদের ইতিহাসে শুনি, সিজার ঝড় তুফানে রুবিকান পার হয়েছিল, সেকেন্দর সা শত্রুর মাঝখানে ঝাঁপিয়ে গে পড়্তো, হানিবল্ না কে ছিলো, শুনতে পাই হিমালয় পর্ব্বতের ন্যায় আল্পস্ পর্ব্বত পেরিয়ে শত্রু জয় করেছিল,—