পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় অঙ্ক
১২৭
কর্চ্ছে। দাও দাও, তোমার মুক্তার মালা দাও, অনেক অর্থের প্রয়োজন; জগৎশেঠ কৃপণ, অধিক অর্থ ব্যয় কর্‌তে চায় না; বিস্তর অর্থের প্রয়োজন। সে নগদ অর্থ, তোমার গুপ্ত ধনাগার হ’তে ল’য়ে যাওয়া বড় কঠিন, সেখানে নবাব সন্দেহ ক’রে পাহারা বসিয়েছে। আজই প্রয়োজন, বিলম্ব করো না, মুক্তার মালা দাও।
ঘসেটী। আন্‌ছি।
জহরা। যাও যাও—ল’য়ে এসো।

ঘসেটী বেগমের কক্ষান্তরে প্রবেশ

হোসেন হোসেন, ক্ষমা করো, আর বিলম্ব নাই, সিরাজের রক্ত আকণ্ঠ পান ক’রো, আমি এনে তোমার কবরে দেব। যেখানে তোমার রক্তপাত হয়েছে, সেইখানে সিরাজের রক্তপাত হবে, হস্তীপৃষ্ঠে তোমার ন্যায় সিরাজের দেহ নগর ভ্রমণ কর্‌বে,—যেমন তোমার মৃতদেহের পশ্চাৎ পশ্চাৎ কেঁদে কেঁদে ফিরেছিলেম, তেম্‌নি উল্লাসে নৃত্য কর্‌তে কর্‌তে সিরাজের দেহের পশ্চাৎ পশ্চাৎ যাবো! আর বিলম্ব নাই—আর বিলম্ব নাই!

ঘসেটী বেগমের পুনঃ প্রবেশ

ঘসেটী। এই নাও। (মুক্তার মালা লইয়া জহরার গমনোদ্যম) শোনো—শোনো—
জহরা। না—না—তিলমাত্র অবসর নাই!
প্রস্থান
ঘসেটী। ওঃ কবে এ পুরে হাহাকার উঠ্‌বে, কবে আমিনা বুক চাপ্‌ড়ে কাঁদবে, কবে লুৎফউন্নিসার চক্ষের জলে—আমার প্রাণ শীতল হবে, ওঃ শিরায় শিরায় অগ্নি—শিরায় শিরায় অগ্নি।
প্রস্থান