পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫০
সিরাজদ্দৌলা
আর বিরূপ হবেন না, সকলই যাবে, আজই বিধর্ম্মী, বিজাতীর পদানত হ’তে হবে, বাঙ্গলার গদী ফিরিঙ্গির পায়ে অর্পণ করবেন না।
মীরজাঃ—জনাব, কি আজ্ঞা কচ্ছেন? আজ্‌কের যে অবস্থা, এতে রণজয় অসম্ভব, আক্রমণে কেবল সৈন্যক্ষয় হবে, শত্রুর হানি হবে না। আমায় সেনাপতি করেছেন, কিন্তু মীরমদন আমার আজ্ঞা লঙ্ঘন ক’রে প্রাণত্যাগ করেছে,—মোহনলালও সৈন্যক্ষয় ক’রতে প্রবৃত্ত হয়েছে। যুদ্ধ জয়, কেবল উৎকট সাহসে হয় না,—রণকৌশল আবশ্যক। আপনি মোহনলালকে নিবৃত্ত হ’তে আজ্ঞা দেন।
সিরাজ। যেরূপ কর্ত্তব্য হয় করুন, মোহনলালকে আমার নামে ক্ষান্ত হ’তে বলুন।
রায়দুঃ। সেনাপতি মহাশয়, আমার বিবেচনায় নবাবের মুর্শিদাবাদ যাওয়া কর্ত্তব্য। নিশাকালে যদি ক্লাইব শিবির আক্রমণ করে, সে এক মহা বিপদের কথা।
মীরজাঃ। সঙ্গত প্রস্তাবই করেছেন। (সিরাজের প্রতি) যদি বান্দার বাক্য গ্রহণ করেন, বেগগামী উষ্ট্র প্রস্তুত আছে, ক’জন রক্ষকের সহিত নবাব মুর্শিদাবাদ গমন করুন,—কল্য জয় সংবাদ সিংহাসনে প্রাপ্ত হবেন।
সিরাজ। যদি আপনাদের অভিমত হয়, আমি মুর্শিদাবাদে যেতে প্রস্তুত, কিন্তু মোহনলালকে ডাকুন।
মীরজাঃ। আপনি প্রত্যাগমনের উদ্যোগ করুন, আমরা তাঁর নিকট দূত প্রেরণ কচ্ছি।
সিরাজদ্দৌলা ব্যতীত সকলের প্রস্থান
সিরাজ। বিশ্বাসঘাতকতা সকলের বদনে অঙ্কিত—নয়ন-কোণে বিশ্বাসঘাতকতা প্রকাশ পাচ্ছে। অসহায় মোহনলাল যুদ্ধ কচ্ছে,