পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ অঙ্ক
১৫১
আমার হৃদয় কম্পিত! মীরমদন পতিত, মোহনলালের অমঙ্গল হ’লে সর্ব্বনাশ! কি করবো! মোহনলাল আসুক, সে যেরূপ পরামর্শ দেয়, সেইরূপ করা উচিত।

জহরার পুনঃ প্রবেশ

জহরা। কি দেখছো—কি দেখছো? সেই তস্‌বীরবাহিকা—তোমার দূত নই। যুদ্ধ জয় হবে, স্বপ্নেও মনে স্থান দিও না! আমিই তোমার বারুদের আবরণ খুলে দিয়ে বৃষ্টিতে ভিজিয়েছি, এই ষড়যন্ত্রে আমিই প্রধান,—তোমার মাতৃস্বসা ঘসেটী বেগমের অর্থে ইংরাজ-সৈন্য পুষ্ট, সে আমার কৌশল। এখনো পালাও—এখনও মুর্শিদাবাদে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করো, একা মোহনলাল তোমার প্রাণ রক্ষা ক্ষরতে পারবে না। আজ রজনীতে বিদ্রোহীরা একত্রিত হ’য়ে তোমার প্রাণবধ করবে। সকলেই প্রাণবধ কর্‌তে এসেছিলো, কিন্তু দিনমান, সকলে দেখ্‌বে, নবাবকে হত্যা করায় নিন্দা হবে, প্রজারা বিরূপ হওয়ার সম্ভাবনা, তাই এখনো তুমি জীবিত। পালাও—পালাও—নচেৎ নীরব নিশীথে বিদ্রোহী-হস্তে তোমার প্রাণবায়ু বহির্গত হবে— লোকের নিকট প্রচার হবে, ইংরাজ বধ করেছে। তোমায় পালাবার পরামর্শ দিয়েছে কেন জানো? তুমি ওদের উপদেশ গ্রহণ কর্‌বে না, এই খানেই অবস্থান কর্‌বে, বধ কর্‌বার সুযোগ পাবে।
সিরাজ। কে তুমি? তুমি সেই তারার তস্‌বীরবাহিকা, আমার শত্রু কেন? আমার অনিষ্ট সাধন কেন কচ্ছ?
জহরা। কে আমি—কে আমি? আমি হোসেনকুলির সন্তাপিতা স্ত্রী, যে হোসেনকুলিকে তুমি স্বহস্তে বধ করেছ! তোমার প্রাণ রক্ষার্থে, তোমায় পালাবার উপদেশ দিচ্ছি নে। যে স্থানে হোসেনকুলিকে