পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৭২

છે. જીર সিরাজদৌলা করিম। (উদেশে নবাবকে সেলাম করিয়া ) একটা পাজামা পেলে ঠিক হতো, একটু বেশটি হচ্ছে। না, ঐ যে নবাব ছেড়ে দিয়ে গেছে – নিই, ঐটে পরে নবাব হ’য়ে সদর দোর দিয়ে বেরুই। আমার বাহবা আছে, ছিলেম কামিনীকান্ত, হলেম করিম চাচা, আবার এই নবাব হয়ে দাড়াই। তবে সেলাম খাবার পরিবর্ভে তলোয়ারের চোট খাওয়াই অধিক সম্ভাবনা । তা হ’লেই বা দুনিয়া ছেড়ে গেলে একটু আফিং কি আর কেউ দেবে না ? না দেয় আর কি করবো, কাটামুণ্ডতেই হাই তুলবো । এই তো বাবা বেফাঁস হয়ে গেল, জুতো জোড়াটার মর্য্যাদা বুঝলুম না ! কামিনীকান্ত, তোমার মেধা বড় কম। ইংরেজের বুট পায়ে জুতো দেখেও জুতোর মর্য্যাদা শিখলে না ! অনেক বাঙ্গালী ভায়াকেই বুটের মর্য্যাদাটা ঠেকে শিখতে হবে, না হয় তোমার বরাতে হলো না, কি করবে ! নবাবটা জুতো খেয়ে বিদেয় হলো, জুতোর চোটে না ধরা পড়ে। করিম চাচা, তুমি কে হে ? অদৃষ্ট খণ্ডন করতে এসেছ ! এসে এখন সটান নবাব হ’য়ে বেরোও ; নাও নাও, পাজামাটা কুড়িয়ে নে এসে । Iս প্রস্থান আলিবদ-বেগম ও ঘসেটা বেগমের ভিন্ন দিক হইতে প্রবেশ ঘসেট । মা নবাব-বেগম, সিরাজকে খুজতে এসেছে, আদরের পুষ্ঠ্যিপুত্রকে খুজতে এসেছো ? পাতি পাতি ক’রে পুরী অন্বেষণ করো, দেখ, যদি খুঁজে পাও, আমিও অন্বেষণ কছি। মতিঝিল ভঙ্গ করেছিলে, তোমার রাজপুরী ধূলিসাৎ হবে ; সেদিন তোমার জ্যেষ্ঠা কন্যার চক্ষে শত ধারা বইবে, মতিঝিল যেমন বেষ্টন করেছিলে, শক্র সৈন্ত তেমনি পুরী বেষ্টন করবে ;–মতিঝিল যেমন লুষ্ঠিত হয়েছিল, তোমার পুরীও সেইরূপ লুষ্ঠিত হবে ; আমি যেমন হাহাকার করে