পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৯৪ সিরাজদ্দৌলা বসেট। মোহনলাল—বিফল চেষ্টা, আর সৈন্ত সংগ্রহ করা তোমার সাধ্য নয় । আমার গুপ্ত ধনাগার শূন্ত করে, সিরাজ পক্ষীয় সকলকে নিরস্ত করেছি, তোমার সাধ্য নাই, যে উত্তেজিত করে । সিরাজের রাজমুকুট ভূমিশায়ী হয়েছে, যেমন সুন্দর মতিঝিল ভূমিসাৎ করেছিলে, সিরাজের বাসস্থানও সেইরূপ ভূমিসাৎ হবে ; মতিঝিল যেরূপ শক্রর ক্রীড়াস্থল হয়েছিল, সিরাজের পুরীও সেইরূপ শক্রর ক্রীড়াস্থল হবে । আমি কে জানো ? আমায় চেনো না, আমি ঘসেট বেগম। মোহন । তুমি নবাবের মাতৃস্বসা, আমার বধ্যা নও !—কিন্তু যে শত্রুর জয়ে উল্লাস প্রকাশ কচ্ছ, সেই শত্রুর হস্তে তোমার কি অবস্থা হবে, একবারও বিবেচনা করে নি ? মীরজাফর তোমার আত্মীয়, কিন্তু তার সম্পূর্ণ পরিচয় পাও নি ? রাজপুরে রাজমাতার স্তায় অবস্থান কচ্ছিলে, এখন মীরজাফরের বাদী হবে, রাজপুরী পরিত্যাগ করে, কুটীরে অবস্থান করতে হবে। সামান্ত ভিখারিণীর অবস্থা ঈর্ষ্যা করবে। তুমি পিশাচিনীর ন্যায় ব্যবহার ক’রেও পিশাচকে চেন নি ? কি পৈশাচিক ব্যবহার, একবারও হৃদয়ে স্থান দাও নি ? ধে রাজ্যলোভে, মান, মর্য্যাদা, জাতীয়তা, স্বদেশগৌরব, মুসলমানের গৌরব, সামান্ত বণিকের পদে অর্পণ করেছ,—সে যে পিশাচের কৃতদাস তা কি অবগত হও নি ? সে পৈশাচিক মন্ত্রে দীক্ষিত, তা তোমার উপলব্ধি হয় নি ? তার পৈশাচিক ব্যবহারে বাঙ্গলা দগ্ধ হবে, তা কি তোমার অনুমিত হয় নি ? অসুতাপের দিন উপস্থিত হবে, কিন্তু অমুতাপে অবস্থা পরিবৰ্ত্তিত হবে না ! আমি রাজভক্ত, স্বদেশভক্ত, আমার অভিশাপ বিফল নয়। (আলিবন্দী-বেগমের প্রতি) মা, চল্লেম, নবাব কোথায় দেখি । অভিবাদন পূর্বক মোহনলালের প্রস্থান