পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

డిసెతి সিরাজদ্দৌলা পাবে! বেইমান কালিতেই ইতিহাসের পৃষ্ঠা ভরে যাবে, তোমার আমার জায়গা হবে না। বাহাদুরী তো নিলে, কিন্তু যে নবাব, হোসেনকুলিকে কেটেছিল, তার কিছু করতে পারলে না। সে ছিল মাতাল নবাব—আর এ হচ্ছে প্রজাপালক নিরীহ নবাব ! ( রায় হল ভের প্রতি ) রায় দুলভ চাচা, আলিবন্দী ময়ূবার সময় নবাবকে মদ ছাড়িয়ে নবাবা রোকটুকু কেড়ে নিয়ে আর তোমাদের মত সাতশো রাফুসীর হাতে পুতো সীপে দিয়ে, বড় কাজ ক’রে গেছেন । ছোড়াটা ভ্যাকাচাকা মেরে গেল কি না ! পলাশীতে যদি দু’ পেয়াল মদ দিতে পারতেম, তাহ’লে তোমাদের বেইমানি খাটুতো না, আর ক্লাইবেরও “হিপ হপ হুয়ূরে” চলতে না । নবাব, চণতাঁর উপর শোয়ার চ’যে বলতো—“লাগাও” কেউ নবাব ছেড়ে তোমাদের দিকে দাড়াতে না । সব সাফ, হ’য়ে যেতো, কাধের উপর কারো মাথা থাকৃতো না, যে মাথা তুলে আমায় ধমক মায়তে ! ( জহরার প্রতি ) চাচী সেলাম, এতটা কারখানা করলে, জোগাড় ক’রে একটু নবাবকে বিষ দিলেই পায়তে, বাঙ্গ লাটা কেন জালালে ? তা যাও চাচী, তুমি আমি কে বাবা, খোদা মালিক ! স্নায় দুঃ । নিয়ে চলো ! করিমকে লইয়া সৈনিকদ্বয়ের প্রস্থান ( জহরার প্রতি ) জহর । তুমি দরবারে এসো, নবাব তোমায় বিস্তর পুরস্কার দেবেন। জহর। সরে যাও—সরে যাও, বিশ্বাসঘাতক, প্রভুহস্তা, সরে যাও, এ পবিত্র কবরভূমি কলুষিত করে না,—দুর হও । নারীর পতি সৰ্ব্বস্ব, পতি সার, পতি ধৰ্ম্ম, পতি স্বর্গ, আমি সেই পতির তৃপ্তির