এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
সিরাজদ্দৌলা
কাশিমবাজার বিগে রয় দিয়েছে। তেমন দানসা ফকির পাইচো। পুচ করে। ঐ দূতটারে—
দূতের প্রবেশ
উজির। কি সংবাদ, বাঙ্গ্লার ফৌজ কত দূর?
দূত। বান্দা দেখে এলো, নবাব-সৈন্য রাজমহল পরিত্যাগ ক’রে কাশিমবাজার অভিমুখে চলেছে।
দানসা। অঃ শুনে লন—শুনে লন, ফুইয়ে উরাইচি—ফুইয়ে উরাইচি।
সকত। কুচ পরোয়া নাই, (উজিরের প্রতি) ফের সই করাবে? গর্দ্দানা নেবো—কোতল কর্বো। বাবা দানসা, এক পেয়ালা খাও।
দানসা। হঃ আমি মুসলমান, সরাব খাবার পারি? তবে হঃ—ল্যাক্চে—ল্যাক্চে, নবাবজাদা দিলি গুণা থাক্বে না।
সকত। দেখ মীরণ চাচা, তোমার বাবা বল্ছেন—একবার মুর্শিদাবাদ যাবো, সিরাজকে তাড়িয়েই লক্ষ্ণৌয়ে সুজাউদ্দৌলার ঘাড়ে গিয়ে প’ড়ব, তারপর দিল্লী। বাদ্সাই পার্বে? বেশ পার্বে—খুব পার্বে।
মীরণ। হ্যাঁ হুজুর—হ্যাঁ হুজুর!
সকত। দেখ তোমায় বাদ্সাই দিয়ে আমি খোরাসানে যাবো, সেখানে একটা নূতন সহর তৈরি কর্বো,—বাঙ্গ্লার জল-হাওয়া আমার সয় না; আর দেখ এ সব বেটীদেরও আমার পছন্দ হয় না; তুমি বাদ্সাই পার্বে তো?
মীরণ। পার্বো বই কি, পার্বো বই কি!
সকত। আচ্ছা মীরণ চাচা, আমোদ করো—আমোদ করো।