পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক
২৩
তার পর তাঁর মৃত্যু রটনা হয়। তারা জীবিতা থাক্‌তে পারেন, কিন্তু এ পত্র জাল। আমার পাপমতি উদ্দীপ্ত করা, এই পত্রবাহিকার উদ্দেশ্য;—হাবভাব, নয়নের কোণে তার শত্রুতা! এ বহুবেশধারিণী। যখন মাতৃষ্বসা ঘসেটীবেগমকে মতিঝিল থেকে নিয়ে আসি, তখন মাতামহীর বাঁদীর বেশে, ঘসেটীবেগমের পরিচ্ছদ বহন কর্‌তে দেখেছিলেম। আজ সে বেশ নাই, আজ তারার পত্রবাহিকা। একে কদাচ রাজ-গৃহে স্থান দিয়ো না।
সিরাজদ্দৌলার প্রস্থান
লুৎফ। বাহিকা শত্রু হয় হোক, সুন্দর তস্‌বির, শয়নাগারে নবাবের তস্‌বিরের পাশে রাখবো। দেবমূর্ত্তি নবাবের পার্শ্বে এই দেবীমূর্ত্তিই শোভা পায়।

ওয়াট্‌স্-পত্নীর পুনঃ প্রবেশ

লুৎফ। তোমার ভয় নাই, তোমার স্বামী আজই মুক্তি পাবেন। নবার উদার, তোমার স্বামীর সঙ্গী চেম্বার্সও মুক্ত হবেন।
ওয়াটস্-পত্নী। খোদা বেগমসাহেবকে দয়া করুন। এ খবরে আমার জান বাঁচ্‌লো। হামি ভাল ভেট পাঠাবে।
লুৎফ। না না—তোমাকে কিছু পাঠাতে হবে না। তুমি আশীর্ব্বাদ করো, যেন আমি পতি-সোহাগিনী হই।
ওয়াটস্-পত্নী। নবাবের কলিজা হ’য়ে, বেগমসাব বারোমাস থাক্‌বে।
লুৎফ। তুমি যাও, তোমার স্বামী দর্শন করগে।
ওয়াটস্-পত্নী। বাঁদীর এক আর্জ্জি, বাঁদী কখনো আপনাকে ভুলিবে না।
ওয়াট্‌স্-পত্নীর প্রস্থান