পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
সিরাজদ্দৌলা

জন্মিয়াছে ধারণা আমার,
রাজকার্য্য নহে স্বেচ্ছাচার;
নবাব রাজার ভৃত্য, প্রভু প্রজাগণে;
প্রজার মঙ্গল কার্য্য সতত সাধন,
নবাবের উদ্দেশ্য জীবনে।
যথাসাধ্য আত্ম-সংশোধন
চেষ্টা করি দিবানিশি।
হও অনুকুল তোমরা সকলে—
কুশলে যাহাতে হয় রাজ্যের শাসন।

মীরজাঃ। রাজ্যের কুশল আমাদের দিবানিশি কামনা। ইংরাজের সহিত যুদ্ধে প্রজার অমঙ্গল বিবেচনায়, শেঠজী জাঁহাপনাকে যুদ্ধে নিরস্ত হ’তে অনুরোধ করেছিলেন,—মারহাট্টা উৎপীড়নে প্রজাসকল বিকল, নানা কারণে রাজকরও বৃদ্ধি হয়েছে, যুদ্ধ ব্যয়ার্থে রাজকর আরও বৃদ্ধি হবে। তবে এখন বুঝ্‌লেম যে দাম্ভিক ইংরাজ দমন কর্ত্তব্য বটে। অমাত্যগণ কি বলেন? সদ্বিবেচনাই অনুমিত হচ্ছে?
স্বরূপচাঁদ। কৌশলে কার্য্য নির্ব্বাহ হ’লেই, সব দিক মঙ্গল হ’তো।
রাজবঃ। যখন উপায় নাই, যুদ্ধই কর্ত্তব্য।
সিরাজ। হে অমাত্যগণ, আমায় শত্রু বিবেচনা ক’র্‌বেন না। কিন্তু যদি সত্যই শত্রু হই, আমি আপনাদেরই শত্রু, বাঙ্গ্‌লার শত্রু নই। আপনাদের যদি বর্জ্জন করা আমার অভিপ্রায় হয়, আপনাদের পরিবর্ত্তে বঙ্গবাসীকেই রাজকার্য্য প্রদান ক’র্‌বো। আপনাদের আত্মীয়-বান্ধব, স্বদেশনিবাসী নির্ব্বাচিত হবে, কোন বিদেশী রাজকার্য্য প্রাপ্ত হবে না। হিন্দুমুসলমানগণ এক স্বার্থে বাঙ্গলায় আবদ্ধ