পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক
৩৫
ড্রেক। হাঁ—হাঁ তা বুঝেছি। But look here, তোমার বাবা যে রাজবল্লব সেই রাজবল্লব আছে। এদিকে ঘেসেটী বেগম জানানায় বন্দী হইল, আর ইংরাজের উপর নবাব রাগিল। এখন কি নয়া সলা করিতেছ বলো? নবাব তাহাকে কিছু বলিল না কেন?
কৃষ্ণ। সাহেব, মুর্শিদাবাদ হ’তে আমি কোন পত্র তো পাইনি।
ড্রেক। ঝুট্ মৎ বলো। আমাদিগের চক্ষু বন্ধ করিতে পারিবে না,—তোমার মনস্থ ফলিবে না, তুমি কলিকাতা হইতে যাইতে পারিবে না।
কৃষ্ণ। সাহেব, আমি ক’ল্‌কাতায় আপনাদের, আশ্রয় গ্রহণ করেছি, ক’ল্‌কাতা হ’তে কোথায় যাব?
ড্রেক। কেন তোমার বাবার নিকট যাইবে না? তোমার বাবার কারণ হাম লোক নবাবকা দুশ্‌মন হুয়া, আর তোমার বাবা নবাবের দোস্ত হুয়া, হামাদের বিরুদ্ধে নবাবকে লইয়া আসিতেছে। যদি সকল সত্য না বলো, তোমায় কয়েদ থাকিতে হইবে।
কৃষ্ণ। সাহেব, কি কথা আমি তো কিছুই জানিনে।
ড্রেক। জাননা, তোমায় আমি বলিয়া দিতেছি। এই পত্র দেখ, কেস্‌কা জানো? Spy রামরাম সিং উমিচাঁদকে লিখিয়াছে। এ চিঠি যে ব্যক্তি লইয়া আসিয়াছে, সে ব্যক্তি তোমার বাবার চরের মত চালাক নয়, এই নিমিত্ত আমদের নিকট ধরা পড়িয়াছে। তোমার বাবা খুব চালাক আদমি। আর মিথ্যা বলিও না, সকল খবর হামাদিগের দাও, নচেৎ তোমায় কয়েদ করিয়া রাখিব। তোমায় কয়েদ করিয়া তোমার বাবার দুশ্‌মুনির শোধ লইব।