পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
সিরাজদ্দৌলা
করিম। চাচা উমিচাঁদ, কিছু বেয়াদবি হয়েছে কি? বেকুব নবাব, নবাবীই জানে না; কারুর গর্দ্দানা নেবার হুকুম দেয় না,—ওকে আগে তক্তা থেকে নাবাও। এমন একজন নবাবকে বসাও, যে হুট্ ব’ল্‌তে জুতো শুদ্ধ লাথি ঝাড়ে, যে কয়েদ ক’রে টাকা আদায় করে! টাকা ভাঙ্গ্‌লে মাপ, শত্রুতা ক’র্‌লে মাপ,—এ ব্যাটা কি নবাব, ছ্যাঃ! জিব শুকুচ্ছে বাবা, চল্‌লেম, পরামর্শ কি আঁট্‌বে আঁটো। ভেব না, যা মুখে এলো, বল্‌লেম, আর পেটে কিছু নাই! আগুন খাও, আঙ্গ্‌রা ছ্যারাবে! আমার কি বাবা! দু’টান চণ্ডু আর দু’পেয়ালা মদ,—তোমাদের পাঁচ জনের কল্যাণে জুট্‌বে! যেতে যেতে বাবা তোমাদের একটা তারিফ দিয়ে যাই। এই যে কৃষ্ণদাসকে ছেড়ে দিলে, তাতে একটা বাহবা দিলে না বাবা!
করিম চাচার প্রস্থান
মীরজাঃ। আজ রাত্রি অধিক হ’য়েছে, নিজ নিজ শিবিরে যাই চলুন।
সকলের প্রস্থান

করিম চাচার পুনঃ প্রবেশ

করিম। মীরণ চাচা চ’লে গেল, চণ্ডুর যোগাড় কে করে। কালাচাঁদ, তোমার প্রেমেই আজ যামিনী যাপন করি। এইটেতে নবাব বসেছিল না? একবার হেলে বসি। (নবাব-সিংহাসনে উপবেশন) উহুঁ—হলো না—এ জায়গা বড় সোজা নয়, এ ফোর্ট উইলিয়াম, এখানে অনেক ব্যাটাকে সেলাম দিতে হবে,—এখানে অনেক মুকুট গড়াগড়ি যাবে। ফোর্ট উইলিয়াম, আমি তোমায় আগে সেলাম দিই বাবা? কিছু ভেবো না—তোমার এ শ্রী থাক্‌বে না, তোমার পুষ্যিপুত্রেরা জাহাজ ক’রে এলো