পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৮
সিরাজদ্দৌলা
ভূত আমার ঘারে চাপ্‌ছিলো, তাই আবল তাবল বক্‌তিছিলাম। দই জনাব—জনাবের দোওয়া করি! মুই ফকির, রোজার দিন ছেপ্ গিলছিলাম, তাই হদুর ভূতটা ঘারে চাপ্‌ছিলো।
সিরাজ। আমরা মুসলমান। তোমার অঙ্গে মুসলমান ফকিরের পরিচ্ছদ, এই জন্য রাজবিদ্রোহী অপরাধেও তোমার প্রাণদণ্ড হলো না। এর নাসা-কর্ণ ছেদ ক’রে, গর্দ্দভের পৃষ্ঠে এরে নগর ভ্রমণ করাও, আর নগরে ঢ্যাঁড্‌রা দেওয়া হয় যে ফকির রাজদ্রোহী; যদিচ ফকির—এই অনুরোধে সামান্য দণ্ড হ’য়েছে, যে ব্যক্তি রাজদ্রোহী হবে, তার প্রতি শূলদণ্ডের আদেশ।
দানসা। দই জনাবের—দই জনাবের!—হদুর ভূত ঘারে চাপ্‌ছিলো, হদুর ভূত ধারে চাপ্‌ছিলো!
দানসাকে লইয়া প্রহরীর প্রস্থান
সিরাজ। সকতজঙ্গের সংবাদ রাসবিহারী এনেছে। বোধ হয় সকলেই অবগত, যে রাসবিহারী, ফৌজদার নির্ব্বাচিত হ’য়ে, আমাদের হুকুমনামা সকতজঙ্গের নিকট ল’য়ে যায়। সকতজঙ্গের উত্তর শুনুন। (রাসবিহারীর প্রতি) রানবিহারী, পত্র পাঠ করো।
রাস।
(পত্র পাঠ)
“সিরাজ, পত্র পাঠ মাত্র মীরজাফর, জগৎশেঠ মহাতাবচাঁদ, রায়দুর্লভ প্রভৃতি আমার কর্ম্মচারীদিগকে নবাবী সম্পত্তি বুঝাইয়া দিয়া, সপরিবারে ঢাকা প্রদেশে যাইয়া অবস্থান করিবে। তুমি আমার ভ্রাতা, খুল্লতাতপুত্র, তোমার প্রতি অন্যায় ব্যবহার করা হইবে না; তোমার ভরণপোষণের নিমিত্ত বন্দোবস্ত করা যাইবে। অবাধ্য হইলে তোমার মঙ্গল নাই। আমি রেকাবে পা দিয়া রহিয়াছি। অবাধ্য হইলে অবিলম্বে মুর্শিদাবাদে উপস্থিত হইয়া, তোমার প্রতি